সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পালা চলছেই। এবার শসাক দলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার দুটি পৃথক পঞ্চায়েতের দুই জয়ী সদস্য। এর ফলে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে একধাপ এগোল তৃণমূল। আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আরেকটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তিবৃদ্ধি ঘটল তৃণমূলের।
বাঁকুড়া জেলার ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ফলাফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কেঞ্জাকুড়া ও রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এরমধ্যে কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ফলাফল ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায় জয়ী এক কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন তৃণমূলের দখলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও মোলবনা গ্রাম সংসদ থেকে নির্দল হিসাবে জয়ী দীনেশ ভুঁই গতকাল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি ঘটল। দল বদল করা নির্দল প্রার্থীর দাবী ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল তিনি বিজেপির টিকিটে জিতে পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তৎকালীন বিজেপি পরিচালিত কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। এখন তিনি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে যোগ দিলেন তৃমমূলে।
অন্যদিকে গতকাল বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে দীনেশ ভুঁই ছাড়াও তৃনমূলের পতাকা কাঁধে তুলে নেন রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর বুথ থেকে সিপিএম-এর জয়ী প্রার্থী প্রসাদ নামহাতা। ১৪ টি আসন যুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬ টি, সিপিএম ১ টি, নির্দল ৪ টি ও বিজেপি ৩ টি আসনে জয়ী হওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ে। গতকাল সিপিএম-এর জয়ী প্রার্থী প্রসাদ নামহাতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মোট আসন দাঁড়াল ৭টি। তৃণমূলের দাবী এরফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে একধাপ এগিয়ে গেল তৃণমূল। দলবদল করা সিপিএম সদস্যর দাবী উন্নয়নের স্বার্থে তিনি দলবদল করেছেন।