eaibanglai
Homeএই বাংলায়পরমাণু বোমার ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণে পালিত হচ্ছে হিরোশিমা দিবস

পরমাণু বোমার ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণে পালিত হচ্ছে হিরোশিমা দিবস

এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– প্রতি বছর ৬ অগস্ট দিনটি হিরোশিমা দিবস হিসেবে পালন করা হয় বিশ্ব জুড়ে।। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে। বিশ্বের এটিই ছিল প্রথম পরমাণু বোমা হানার ঘটনা। পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে নিমেষেই কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছিলে গোটা শহর। পরমাণু বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১২৬০০০ হাজার সাধারণ নাগরিকের ও প্রায় ২০০০০ সেনার। আহত হয়েছিলেন ৩৫ হাজারের বেশি। শুধু তাই নয়। শহরের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তা -ঘাট, গাছ-গাছারি-হিরোশিমার সার্বিক নির্মাণ কাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বলতে গেলে পুরো শহরটাই প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছিল। ওই ঘটনার তিন দিন পর অর্থাৎ ৯ আগস্ট, জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলায় প্রায় ৮০,০০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এমনকি সেই ভয়াবহ পারমাণবিক বিস্ফোরণের ভয়ানক প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে হয়েছিল জাপানের পরবর্তী কয়েক প্রজন্মকে। ভয়াবহ সেই ধ্বংসলীলা স্মরণ করে আজও আতঙ্কিত হয়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সেই ভয়াবহতাকে স্মরণ করতেই প্রতিবছর হিরোশিমা দিবস পালন করা হয়।

ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুনভাবে গড়ে উঠেছে হিরোশিমা। এখন তা বিশ্বের অন্যতম শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, এটি একটি ব্যস্ত শহর ও শিল্পের প্রাণকেন্দ্র। বিশ্বশান্তি ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রচার করতেই হিরোশিমা দিবস পালন করা হয়। যেসব মানুষ ওই ভয়ংকর আক্রমণের বলি হয়েছিলেন, প্রতি বছর ৬ অগস্ট তাঁদের স্মৃতি তর্পণ করা হয় এবং আগামীদিনে যাতে এ ধরনের ভয়াবহ কোনও ঘটনা না ঘটে সেই প্রার্থনা করা হয়। এ বছরও এদিন সেই স্মরণানুষ্ঠান যথারীতিভাবে আয়োজিত হচ্ছে। এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যই হল পারমাণবিক অস্ত্রের বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments