সঙ্গীতা চ্যাটার্জী, তারকেশ্বর:- গত কাল শুরু হলো ৫০৮ তম পানিহাটি চিড়া-দধি দন্ড মহোৎসব। কেন এটিকে দন্ডমহোৎসব বলা হয়? কী এই উৎসবের তাৎপর্য! এর পিছনে রয়েছে নিত্যানন্দ প্রভুর শাস্তি দেওয়ার কাহিনী। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে হুগলি জেলার অন্তর্গত শ্রীকৃষ্ণপুরের জমিদার শ্রীগোবর্ধন মজুমদারের পুত্র শ্রীচৈতন্য পার্ষদ রঘুনাথদাস গোস্বামী একবার শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর আশীর্বাদ না নিয়েই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আর্শীবাদ লাভ করার চেষ্টা করেছিলেন, যে কারণে নিত্যানন্দ প্রভু ঠিক করেছিলেন তিনি রঘুনাথ দাস গোস্বামীকে দন্ড দেবেন। রঘুনাথ দাসকে তিনি সরাসরি বলেন তোমাকে দন্ড ভোগ করতেই হবে, নিজের দণ্ড ভোগ করবার জন্য তুমি প্রস্তুত হও। রঘুনাথ দাস গোস্বামী নিজের শাস্তি তখন মাথা পেতে নিতে চান, হাসিমুখে তিনি শাস্তি প্রার্থনা করেন। সকলে ভয় পেয়ে যায় এই না জানি কি শাস্তি দেওয়া হবে তাকে।
কিন্তু নিতাই প্রভু তো চরম দয়ালু,তিনি নিত্যানন্দ মহাপ্রভু কে বলেন যে,“রঘুনাথ, তোমাকে শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ-গৌরাঙ্গের ভক্তদের চিড়া-দধি ভোজন করাতে হবে। এটাই হল তোমার দন্ড। আনন্দের সঙ্গে রঘুনাথ সেদিন এই দন্ড গ্রহণ করেছিলেন।” সেই থেকেই এই দিনটি শুরু হয় চিড়া- দধি দন্ড মহোৎসব নামে।