সংগীতা চৌধুরীঃ- দক্ষ যজ্ঞের পর দেবী সতীর দেহ ৫১টি খন্ডে খন্ডিত করেন ভগবান নারায়ণ, পরবর্তীতে সেই ৫১ টি খন্ড যেখানে যেখানে পতিত হয়ে ছিলো সেখানে গড়ে ওঠে সতী পীঠ। এই ৫১ সতী পীঠের মধ্যে একটি সতীপীঠ হলো মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী মন্দির। ‘শ্রী শ্রী কিরীটেশ্বরী’ মায়ের এই মন্দিরে মায়ের কিরীট অর্থাৎ মুকুট পরে ছিলো, সারা বছর মন্দিরের গর্ভগৃহের মধ্যে মায়ের এই শিলা খণ্ড থাকে। পরবর্তীতে মায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হয়। মায়ের এই মূর্তিটি নাটোরের রানী ভবানী তৈরি করে ছিলেন। যদিও মূর্তিটি ঠিক আবক্ষ মূর্তি নয়,কারণ এই মূর্তিতে শুধুমাত্র মায়ের গলা ও মুখ দেখা যায়। যদিও সুরক্ষা জনিত কারণে মায়ের এই মূর্তিটি সারাবছর অন্যত্র রাখা হয়, কেবলমাত্র পৌষমাসের প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার মায়ের এই মূর্তিকে রাজবেশ পরিয়ে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
লালগোলার রাজা ভগবান রায় এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়ে ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের থেকে এরপর ভগবান রায়ের বংশধর দর্পনারায়ণ সেই দায়িত্ব পান। দুর্গা পুজো, কালী পুজো ও রটন্তী অমাবস্যায় এই মন্দিরে মায়ের বিশেষ পুজো হয়। কথিত আছে যে, মিরজাফর শেষ বয়সে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হলে তিনি রোগ মুক্তির আশায় কিরীটেশ্বরী দেবীর চরনামৃত পান করেন।