সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে আসানসোলের একাধিক থানা একালায় কুড়িটিরও বেশী এটিএম জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনায় জামতাড়া গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করল রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতরা হল বছর ১৮-র জুনেদ আলি ও বছর ২৮র আরমানুল হক। সম্পর্কে ধৃত দুজন মামা ভাগ্নে । আরমানুল হক আসানসোলের বোতল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত হীরাপুর থানা এলাকার ৪টি, আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার ৪/৫টি ও আসানসোল উত্তর থানা এলাকার ৪/৫ টি সহ বিভিন্ম এলাকায় একাধিক এটিএম থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। খবর পেয়ে তৎপরতা শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার পিছনে রয়ছে জামতাড়া গ্যাংয়ের ২ দুই সদস্য। সাইবার ক্রাইম বিভাগের বিশেষ টিম দুষ্কৃতীদের ছবি হাতে পেয়ে যায় এবং সেই ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে সজাগ করে দেয়। এরই মধ্যে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ জানতে পারে মামা ভাগ্নে জুটি এলাকায় এটিএম জালিয়াতির পরিকল্পনা করেছে। সেই মতো গত রবিবার রানীগঞ্জে আসানসোল পুরনিগমের বোরো অফিস থেকে স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে একটি অটো থেকে তাদের পাকড়াও করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছ এরা এলাকায় এলাকায় এটিএম কাউন্টার গুলিতে নজরদারি চালাতো। এবং দেখতো, কারা এটিএম থেকে টাকা তোলার বিষয়ে সেভাবে পটু নয়। তাদের এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড সহ নানান তথ্য বিভিন্ন ছল চাতুরির মাধ্যমে জেনে নিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। এভাবে গত কয়েকদিনে কয়েক লক্ষ টাকা এই জুটি হাতিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা। সোমবার তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই জুটির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে ধৃতদেরকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানান আসানসোলের একাধিক থানা এলাকা থেকে ধৃতরা এটিএম থেকে টাকা হাতিয়েছে। ধাপে ধাপে ওইসব থানাও তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের হেফাজতে নেবে। তখন আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।