সঙ্গীতা চৌধুরী,হুগলিঃ- ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ’নেই কাজ তো খই ভাজ’-কথাগুলো বর্তমানে যত না বেশি কুঁড়ে অলস মানুষদের জন্য ব্যবহৃত হয় , বর্তমানে সমাজসেবক বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য তার দেড়গুণ বেশি ব্যবহৃত হয়। স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে অনেকেই আফসোস করে বলেন, তাদের রক্ত চাই অথবা ক্যান্সার, কিডনি, থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের পাশে দাঁড়ান পোস্টে লাইক আসে না তেমন , অথচ মানুষ রিল দেখেন, শেয়ার করেন। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হেঁটে হেঁটে লোককে রক্ত দিয়ে এসে বা লোকের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে ও সমাজসেবীদের আজ নানান রকম কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ স্বেচ্ছাসেবীদের ভীষণ বাঁকা চোখে দেখেন বলে মনে করেন স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার বেশিরভাগ মানুষ। এই নিয়েই একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। প্রতিবেদনের এই বিষয়টির সঙ্গে তিনি সহমত পোষণ করলেন এবং আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন সকলেই এক না হলেও অনেকেই এই রকম মনোভাব পোষণ করেন সমাজসেবীদের প্রসঙ্গে।
‘সমাজে এত কিছু করার পরেও সমাজের লোকেদের কটাক্ষ সহ্য করতে হয় যখন তখন কী মনে হয়’-এই প্রশ্নের উত্তরে চুঁচুড়া সহযাত্রীর স্বেচ্ছাসেবক অভিজিৎ ব্যানার্জী বলেন, ‘কারোর কথায় কিছু আসে না,আমি নিজে সৎ ভাবে মানুষের জন্য কাজ করবো এটাই আমার উদ্দেশ্য’। এই ধরণের কটাক্ষ মূলক কথা গুলো যখন শোনেন, তখন কেমন লাগে, এর উত্তরে অভিজিৎ বাবু মুচকি হেসে বলেন, যখন এইসব কথা শুনি, তখন হাসি,কিছু মানুষ কখনও ভালো জিনিস দেখতে পারে না!
তবে এতকিছুর পরেও স্বেচ্ছাসেবকদের একটাই কথা , যারা এমন কটাক্ষ করছেন, উপহাস করছেন, তারা বিপদে পড়লেও সমস্ত উপেক্ষা , অবহেলা ভুলে এই স্বেচ্ছাসেবকরা অবশ্যই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন, কারণ তারা মানুষকে ভালোবাসেন, সেবাকেই ধর্ম হিসেবে মানেন।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই চুঁচুড়া সহযাত্রীর পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঁচটা কর্মসূচি পালন হয়েছিল। এইসব কর্মসূচীর মধ্যে ১লা মে চুঁচুড়া সহযাত্রীর পক্ষ থেকে জলছত্র অনুষ্ঠানে ১০০০ জন শ্রমিক বন্ধুদের জন্য গ্লুকোজ এর ব্যবস্থা করা হয় ও ১৭ ই মে হুগলী মোড়ে ২০০০ জন পথ চলতি তৃষ্ণার্ত সাধারণ মানুষের জন্য ঠান্ডা জল এবং বাতাসা, বোঁদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।





