সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসলো শিল্প শহর আসানসোলে। শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূর্তি উন্মোচন করেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় , সুব্রত অধিকারী, কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল, দিলীপ বড়াল, মৌসুমী বিশ্বাস, ওএস বীরেন অধিকারী, শিল্পী সুশান্ত রায় সহ অন্যান্যরা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় উপন্যাসিক, কবি এবং সাংবাদিক। তিনি ১৮৭৫-৭৬ সালে “বন্দে মাতরম” গানটি লিখেছিলেন। যা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান হয়ে উঠে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর উপন্যাসগুলিতেও দেশপ্রেমের চেতনা প্রচার করেছিলেন। বিশেষ করে “আনন্দমঠ”। যেখানে ১৭৭৩ সালের সন্ন্যাসী বিদ্রোহের বর্ণনা রয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের সেরা সাহিত্য়িকদের মধ্যে অন্যতম সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল আসানসোল পুরনিগম। শহরের বিবেকানন্দ সরণি বা সেনেরেল রোডের এইচএলজি মোড়ের কাছে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র ও চেয়ারম্যান বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘বন্দে মাতরম’ দেশাত্মবোধক গান জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেতনা জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তাঁর উপন্যাস ও লেখার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চেতনা তৈরি করেছিলেন। আমরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ঋণী থাকব। ১৫০ বছর পরেও, তাঁর গান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। আসানসোল পুরনিগম সর্বদা বাংলা ও ভারতের মনীষী ও সাহিত্যিকদের স্মৃতিতে তাঁদের মূর্তি স্থাপনের চেষ্টা করে। যাতে মানুষ তাদের আদর্শের প্রতি সচেতন হন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই কথা ভেবেই আসানসোল পুরনিগমের এই উদ্যোগ।”





