eaibanglai
Homeএই বাংলায়ভোট প্রচার, হিংসা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা, এক রাজ্যের ভিন্ন চিত্র

ভোট প্রচার, হিংসা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা, এক রাজ্যের ভিন্ন চিত্র

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ অপেক্ষা ষষ্ঠ, দফার আর সেই ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাঁকুড়া জেলায় শুরু হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা। গত দুদিন ধরেই চলছে রুট মার্চ। বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা এবার শুরু করলেন নাকা তল্লাশি। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে চারচাকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান কারণ ভোটের মরশুমে কোনরকম ত্রুটি রাখতে নারাজ কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশ প্রশাসন তাই বিভিন্ন জনবহুল ও ব্যস্ত সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে থেকে নাকা তল্লাশিতে নেমেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বৃহস্পতিবার এক কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী জয়পুরে রুট মার্চ করে এরপর ওই এলাকায় কোনোরকম অশান্তি ও নাশকতামূলক কাজ এড়াতে চলে ‘নাকা তল্লাশি’। এইবারের লোকসভা ভোট উপলক্ষ্যে বাঁকুড়া জেলায় পৌঁছেছে ছ’ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে তিন কোম্পানী জেলার জঙ্গলমহল হিসেবে পরিচিত খাতড়া মহকুমা এলাকায় তাদের ডিউটি করছে। পাশাপাশি এক কোম্পানি স্থানীয় বিএড কলেজে ও বাকি দুই কোম্পানী ঝিলিমিলির সারেনসোগড়া ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। বাকি তিন কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে এক কোম্পানী বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন বিকনা ও বাকি দুই কোম্পানী বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এক দিকে আসন্ন ভোটের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে বাঁকুড়া জেলায় যখন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনী তখন দুর্গাপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যহত। এবারের ঘটনা দুর্গাপুরের ৩৯ নং ওয়ার্ডের। সেখানে এলাকার সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও সিপিএম সমর্থকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অভিযোগের তির এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডলের বিরুদ্ধে। বাড়ি ভাঙচুর। ঘরছাড়া তৃণমূলের কাউন্সিলর। তৃণমূলে ভোট না দেওয়া, এবং ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে ভোটের পরে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। আজ সকালেও এলাকায় বিক্ষোভ ।ঘটনাস্থলে কোক ওভেন থানার পুলিশ। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পাল্টা তৃণমূল কাউন্সিলর ও তার অনুগামীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দুর্গাপুরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড। জানা গেছে গ্রামবাসীদের হামলার জেরে আতঙ্কে ঘর ছাড়া তৃণমূল কাউন্সিলর শশাঙ্ক শেখর মন্ডল। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে ভোটের আগে অনুন্নয়নের চিত্র ধরা পড়ল পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নং ব্লকের পুস্তি গ্রামপঞ্চায়েতের কড়াডি গ্রামের। প্রত্যেকবার ভোট আসে আবার ভোট চলেও যায় কিন্তু যেমন ছিল তেমনি থেকে যায় গ্রামের অবস্থা। ঠিক এখন যেমন অবস্থা। এক পশলা বৃষ্টিতে গ্রামের রাস্তা জলাকীর্ণ। একমাত্র প্রধান সড়ক হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে হয় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। কিন্তু প্রশাসনের কোন দৃষ্টি নেই। ফলে বুধবারের এক পশলা বৃষ্টিতে গ্রামের রাস্তা বেহাল। উপায় না দেখে গ্রামবাসীরা নেমে পড়েছেন রাস্তা মেরামতের কাজে। কারণ এ রাস্তা দিয়েই তাদের কাজে যেতে হবে, কচিকাঁচাদের স্কুলে যেতে হবে আবার মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রধান ভরসা এই রাস্তায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার জমা জল নিষ্কাশনের কাজে নেমে পড়লেন। নিজেরাই বাঁশ, কাঠ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে জমা জল পরিষ্কার করলেন বেহাল রাস্তার অস্থায়ী রূপে মেরামতির জন্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রত্যেকবার ভোট আসে, ভোটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশ্রুতিও আসে কিন্তু গ্রামবাসীদের ভোট পেয়ে গেলে নেতা-নেত্রীদের আর দেখা যায় না। এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments