নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এই বাংলায় নিউজ পোর্টালের খবরের জের, রাতের অন্ধকারে রাজ্য ছেড়ে চম্পট দিল আসানসোলের কন্যাপুরের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল। শুক্রবার আমাদেরই নিউজ পোর্টাল এই বাংলায় এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল, কন্যাপুরের কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল হঠাৎ করেই গেরুয়া বসনধারী হয়ে ভাগবৎ পাঠে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আর তারই সেই ভাগবৎ অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রথম সারির বাংলা দৈনিকে ফলাও করে ছাপাও হয়েছিল। এই বাংলায় নিউজ পোর্টালে সেই খবর প্রকাশিত হতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া এবং সিন্ডিকেট রাজের দাপটে কিছুদিন আগেও আসানসোল শহর সরগরম ছিল, হঠাৎ করে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই সেই সমস্ত কয়লা মাফিয়া ও সিন্ডিকেট চক্রীদের এহেন ভোলবদলের কারণ কী? বিভিন্ন মহল থেকে এও জানানো হয়, রাজ্যে ঘাস ফুল শিবির জোর ধাক্কা খেতেই গেরুয়া শিবিরের শক্তিবৃদ্ধিই এর পেছেন প্রধান দায়ী। কিন্তু তাই বলে সরাসরি গেরুয়া বসন পরিহিত হয়ে ভাগবৎ পাঠ? আসানসোলের কন্যাপুরের ত্রাস কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডলের এহেন পরিবর্তনে ভ্রু কুঁচকেছিলেন
অনেকেই। কারণ, বছরের পর বছর ধরে কয়লা, লোহা, মাদক দ্রব্য ও নারী পাচার চক্রের মূল হোতা এই জয়দেব মণ্ডলের নামে আজও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন তাহলে সবকিছু ছেড়ে তিনি কী হঠাৎ বাল্মিকী হয়ে উঠলেন? তবে বেশি সময় লাগলো না, শুক্রবার এই বাংলায় কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডলের ভাগবৎ পাঠের ঘটনা প্রকাশিত হতেই ওই রাতেই রাজ্য ছেড়ে অজানা কোনও জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছে জয়দেব মণ্ডল। তবে বিশ্বস্ত সুত্র অনুযায়ী ইতিমধ্যেই গোয়ান্দা দফতরের অনুবীক্ষন যন্ত্রের তলায় এসেছে জয়দেব মণ্ডলের কালো কারবার ও তার সমস্ত পরিবার। রানীগঞ্জের বক্তানগরে তার মামা বাড়ি এবং তার মামাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে গোয়েন্দারা। এও জানা যায়, দুর্গাপুরের বিধাননগরে তার এক মামার অট্টালকাসম বাড়ি ও ফুলঝোড় মোড়ের কাছে তাদের ফার্ম হাউসও বাদ যায়নি গোয়েন্দা দফতরের কড়া নজর থেকে। তবে কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল রাজ্য ছেড়ে পালাতে সক্ষম হলেও ততটা ভাগ্য সহায় ছিল না কয়লা সিন্ডিকেটের অন্যতম তার সাগরেদ রকেটের। জানা গেছে, শুক্রবার রাতেই পুরুলিয়া পুলিশের জালে ধরা পড়েছে কয়লা পাচারের অভিযুক্ত রকেট। এবার কী তাহলে জয়দেব মণ্ডলের পালা? রকেটকে জেরা করেই পুলিশ জয়দেব মণ্ডলের গতিবিধি এবং বেআইনি কারবারের বহু তথ্য জানতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত অভিযুক্ত রকেটকে পুলিশি হেফাজতেই রাখা হয়েছে।