নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাইট ব্যাঙ্ক ইরিগেশান ডিডিভশন অর্থাৎ দক্ষিণ তট সেচ খাল অফিস স্থানান্তর করার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকার চাষী ও ঠিকাদারদের একাংশ। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে ঘিরে উত্তেজনা সোনামুখী এলাকায়। আন্দোলনরত চাষী ও ঠিকাদারদের অভিযোগ, ডিভিসির শুরু থেকে রাইট ব্যাঙ্ক ইরিগেশান ডিডিশনের অফিসটি সোনামুখীতে ছিল। যার কাজের পরিধি ছিল বাঁকুড়া, বর্ধমান হয়ে হুগলি পর্যন্ত মোট ১০৫ কিলোমিটার। সম্প্রতি সেচ দপ্তর এই অফিসটি সোনামুখী থেকে সরিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যায়। আর এর জেরেই সমস্যার সূত্রপাত। কারণ অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জেরে একদিকে যেমন এখানকার চাষীদের অভাব, অভিযোগ জানাতে বর্ধমান ছুটতে হবে, তেমনি এলাকার ছোটো ঠিকাদাররাও কাজ থেকে বঞ্চিত হবেন। এই অবস্থায় ফের সেচ দপ্তরের অফিস সোনামুখীতে ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকেও জানানো হয়েছে। অবিলম্বে অফিস সোনামুখীতে ফেরত না এলে আন্দোলনকারীরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। অন্যদিকে শাসকদলের দুর্নীতি এবং একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকে স্মারক লিপি পেশ করলো বিজেপি। একসময় শাসক দলের প্রাধান্য থাকলেও লোকসভা ভোটের পর এই ব্লকে বিজেপি থাবা বসিয়েছে। পাত্রসায়ের বিজেপির মন্ডল ২-এর সভাপতি তমাল কান্তি গুই জানান, তৃণমূলের আমল থেকে বিডিও অফিসে দুর্নীতি হয়ে আসছে। সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দশ দফা দাবি নিয়ে আমাদের এই ডেপুটেশন| দাবি গুলি হল এইচ বি গ্রান্ট-এর টাকা অতিসত্বর মিটিয়ে দিতে হবে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অগ্রাধিকার তালিকার ক্রমিক নম্বর নিয়ে পক্ষপাতিত্ব বন্ধ করতে হবে, 2011-12 থেকে 2018-19 গীতাঞ্জলি মাইনরটি স্কিমের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় বিজেপি শিবিরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা মারফত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে ইত্যাদি। বিডিও সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সেচখাল অফিস ফেরানোর দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ
RELATED ARTICLES