জয়প্রকাশ কুইরি,পুরুলিয়া :বৃষ্টির অভাবে মরতে বসেছে ধানের চারা |আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে পুরুলিয়া জেলার ধান চাষীদের| চাষের জমি ফেটে চৌচির| তাই এখনো চাষের জমি তৈরিই করতে পারেননি চাষীরা |জল সেচ করে যে চাষ করবেন তারও উপায় নেই| কারণ পুকুর-জলাশয় এমনকি কংসাবতী নদী ফাঁকা মাঠে পরিণত হয়েছে| তাই চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষীরা| আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টি না হলে অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা| ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের কড়াডি গ্রামের চাষী মানস চন্দ্র কুইরি, নেশরাই পরামানিক, গৌতম চন্দ্র প্রসাদ রা বলেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছিল| সেই সময় অনেক আশা করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ধান লাগিয়েছিলাম | চালাও বেরিয়ে ছিল কিন্তু তারপর আর বৃষ্টিপাতের নাম নেই| জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত একেবারেই বৃষ্টিপাত হয়নি| তাই চাষের জমি ছাড়তে শুরু করেছে মরতে বসেছে ধানের সেই চারা| শুকিয়ে গিয়েছে পুকুর এমনকি সামনে থাকা কংসাবতী নদী যেন ফাঁকা মাঠ| এই কয়েকদিনের মাথায় যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে খিল থেকে যাবে জেলার সমস্ত ধানের জমি | জেলার এক কৃষি আধিকারিক এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আগামী সাত দিনের মাথায় যদি ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে ধান চাষ হবে না জেলায়| এখন পর্যন্ত জেলার কোন জায়গাতেই ধান বপন এর কাজ শুরু হয়নি| এ পর্যন্ত যেখানে সাধারন ভাবে ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা সেখানে মাত্র ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে| অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ ১৪১ মিলিমিটার| তাই এ বছর পুরুলিয়া জেলায় ধান চাষ সংকটের মুখে |