নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় ময়দানে বিজেপির জনসভা। আর বৃস্টিস্নাত জনসভায় রবিবাসরীয় বিকেলে রূপ নিল রণক্ষেত্রের। তৃণমূল নেতা মলয় উপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগদান করানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের সেই জনসভা মুহূর্তে হয়ে উঠল রণক্ষেত্র। মলয় উপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগদান করানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ একদল বিজেপি সমর্থকের তুমুল বিক্ষোভের জেরে রবিবার গান্ধিমোড়ে বিজেপির জনসভায় উড়লো চেয়ার, ভাঙলো ব্যারিকেড। সেই সঙ্গে জনসমক্ষে মুখ পুড়লো বিজেপিরও। রবিবার চিন্তন শিবিরের পর দুর্গাপুরে বিজেপির জনসভা ভালোই চলছিল। কিন্তু জনসভার একটা সময় বারাবনির তৃণমূল নেতা মলয় উপাধ্যায় সহ বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করানো শুরু করতেই সভা জুড়ে তুমুল বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। ব্যারিকেড, চেয়ার ছুঁড়ে ও ভাঙচুর করা হয়।
বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তারা জানান মলয় উপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের হয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। তাই কোনওভাবেই তারা মলয় উপাধ্যায়কে বিজেপিতে যুক্ত করার পক্ষপাতী নন। অবিলম্বে তারা লক্ষ্মন ঘরুইয়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রবিবার সকাল থেকেই চিন্তন শিবিরকে কেন্দ্র করে মুখ পুড়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের। চিন্তন শিবির চলাকালীন এদিন দুর্গাপুরে বিজেপির এক মিছিলেই বিজেপির কয়েকজন সদস্য বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই-এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এছাড়াও রবিবার চিন্তন শিবির শেষ হওয়ার পর রিতেশ নায়েক নামে এক যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুর্গাপুরের কমলপুর এলাকায় বিজেপির মিছিল চলাকালীন তৃণমূল নেতা নিখিল নায়েক ও তার অনুগামীর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে লক্ষ্মন ঘরুই জানান, শাসকদলের আক্রমণে ৭-৮ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।