সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া :
বাংলার সুপ্রাচীন দুর্গাপুজোগুলির একটি হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মল্লরাজাদের কুলদেবী মৃন্ময়ীর পুজো। আজ তোপধ্বনি দিয়ে সেই পুজোর সূচনা করল রাজপরিবার। পাহাড়ের ওপর কামান ফাটিয়ে ঘোষণা করা হল দেবীর আগমনবার্তা।
বিষ্ণুপুরে অবস্থিত মৃন্ময়ী মন্দির। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা জয় মল্ল এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেবী মৃন্ময়ী ছিলেন মল্ল রাজাদের কুলদেবী। পুজোর দুসপ্তাহ আগে জিতাষ্টমীতে শুরু হোত পুজো। সেই প্রাচীন রীতি এখনও চালু আছে। সোমবার সকাল থেকেই রাজবাড়ি ও মৃন্ময়ী মন্দিরে চরম ব্যস্ততা। কামানে বারুদ ভরতে ব্যস্ত কারিগররা। বারুদ ঠাসা শেষ হতেই মূর্চ্ছা পাহাড়ের ওপর কামান বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তোপধ্বনি।
আগে পুজোর প্রতিটি নির্ঘণ্টই কামান ফাটিয়ে ঘোষণা করা হোত। মল্ল বংশের পতনের পর পুজোর জৌলুস আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। কিন্তু কামান ফাটিয়ে পুজোর সূচনা করার প্রাচীন রীতি আজও অটুট। সকালে পুকুরের ধারে বড় ঠাকুরানীর পটপুজো করা হয়। তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় মৃন্ময়ী মন্দিরে। একই রীতি মেনে সাতদিন পর মন্দিরে আসবেন মেজ ঠাকুরানী। ষষ্ঠীর দিন নিয়ে আসা হবে ছোট ঠাকুরানীকে।