eaibanglai
Homeএই বাংলায়আদিবাসীদের জন্য বিদ্যালয়ের আয়োজন করল একটি সংস্থা

আদিবাসীদের জন্য বিদ্যালয়ের আয়োজন করল একটি সংস্থা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কলকাতাঃ- ওরা গরীব ঘরের শিশু সন্তান। অরণ্য অঞ্চলের বাসিন্দা। সকাল হতেই পেটের দায়ে ওদের মা-বাবারা বের হয় কাজে। সন্তানদের লেখাপড়া শেখানো ওদের কাছে বিলাসিতার নামান্তর। খাবার পাওয়ার আশায় সরকার পরিচালিত আইসিডিএস সেণ্টারে সকালের দিকে ওরা যায়। সেখানেই অল্প সময়ের জন্য ওরা পড়াশোনা করলেও তারপর ওরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়না। শিশু সুলভ খেলায় মেতে ওঠে। পরবর্তী সময়ে মেয়েরা পড়াশোনা করলেও ছেলেরা কাজের সন্ধান করে। অল্প বয়সেই ক্ষেত মজুর হয়ে ওঠে। এবার ওদের বিদ্যালয়মুখী করে তোলার জন্য এগিয়ে এল ‘ডি উইস’ নামক কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাদেরই সহযোগী স্হানীয় আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা ‘রামধনু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’।

এলাকার শিশুদের যাতে মাঝপথে পড়াশোনায় ছেদ না পড়ে যায় সেইদিকে লক্ষ্য রেখে গত ২৪ শে ডিসেম্বর এই দুই সংস্হার যৌথ উদ্যোগে আউসগ্রাম-১ নং ব্লকের দীর্ঘনগর-২ নং পঞ্চায়েতের পেছিয়ে পড়া আদিবাসী অধ্যুষিত ঝারগোড়িয়ায় এলাকার শিশুদের জন্যে ‘মুক্তধারা শিক্ষাঙ্গন’ নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্হাপিত হয় যেখানে অরণ্যবাসী শিশুরা খোলামনে আইসিডিএস সেণ্টারের শেষে আবার পড়াশোনা করবে। স্বেচ্ছায় এবং বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্হানীয় দু’জন উচ্চ শিক্ষিতা রমণী ফুলমণি কিস্কু ও সুপ্রিয়া সোরেন। তাদের সহযোগিতা করবেন সানোদি হেমরম।

উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন আউসগ্রাম ১নং প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী সেখ সালেক রহমান সহ স্হানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, বেশ কয়েকজন সমাজসেবী সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ‘ডি উইস’ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সুমিত্রা পাল বক্সী। তিনি শিশুদের হাতে কিছু পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দেন। ‘রামধনু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র পক্ষ থেকে প্রায় প্রত্যেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

রামধনুর পক্ষ থেকে সানু মল্লিক বললেন – এইসব শিশুদের জন্য বিদ্যালয় স্হাপন করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। তবে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ‘ডি উইস’-এর। তারা না থাকলে আমাদের পক্ষে এই বিদ্যালয় স্হাপন করা সম্ভব হতোনা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বললেন – বর্তমান যুগে অর্থই যখন বড় হয়ে ওঠে তখন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে যেভাবে ঐ শিক্ষিতা মেয়ে দুটি এগিয়ে এসেছে তাতে সত্যিই আমরা গর্বিত।

প্রসঙ্গত ‘ডি উইস’-এর সহযোগিতায় ‘রামধনু’ এর আগেও এই এলাকায় একাধিক সমাজসেবামূলক কাজ করেছে।

 
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments