সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ- বয়স্ক মানুষদের ফুলের তোড়া দিয়ে সন্মান জানানো, সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনা, আইসিডিএস কেন্দ্রে শিক্ষিকা এবং শিশুদের সঙ্গে কথা বলা,অসুস্থ ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন , দলীয়র কর্মীর বাড়িত মধ্যাহ্ন ভোজন, পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, কর্মী সম্মেলন করা, রাতে ফের দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাতের ভোজন করা- মঙ্গলবার দিনভর নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ পালন করলেন বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়।
এদিন বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দিদির দূত হয়ে পৌঁছে যান মেয়র। সেখানে প্রথমে তিনি জোড়বাড়ি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর মন্দির প্রাঙ্গনে এলাকার কিছু বয়স্ক মানুষদের ফুলের তোড়া দিয়ে সন্মান জানান। সেখান থেকে তিনি স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্রে যান ও সেখানকার শিক্ষিকা এবং শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর জোড়বাড়ি অঞ্চল পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন ও এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে জানেন। এমনকি এই সময় স্থানীয় এক অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর তিনি চলে যান স্থানীয় জোড়বাড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয় ঘুরে দেখে তিনি কুণ্ডল পাড়ায় গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন ও যারা সরকারের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তাঁদের দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার কথাও জানান। সেখান থেকে তিনি চলে যায় টাবাডি আদিবাসী গ্রামে। সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শোনেন। তারপর তিনি হলুদকানালি গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সেখানে এক তৃণমূল কর্মী নরেশ সোরেনের বাড়িতে দুপরের মধ্যাহ্নভোজন সারেন। এরপর সোজা চলেযান আছড়া পঞ্চায়েত কার্যালে। সেখানে পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ও পঞ্চায়েত কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে নেতাজী কলোনিতে পথসভা এবং পল্লীমঙ্গল ক্লাবে কর্মীসভা করেন। সবশেষে তৃণমূল কর্মী আশুতোষ তেওয়ারীর বাড়িতে রাতের ভোজন করবেন বলেও জানান তিনি।
সব মিলিয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সকাল থেকে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনে জনসংযোগ করেন আসানসোলের মেয়র এবং দিদির দূত হিসেবে সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে যান।
