শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ– চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র চন্দ্রযান-৩-কর্মযজ্ঞে টীম ইসরোর অন্যতম সদস্য বাঁকুড়ার তালডাংরার প্রত্যন্ত বিবড়দা গ্রামের প্রলয় কর্মকার ওরফে চিকুর নাম অনেকেরই অজানা। কোন বাংলা সংবাদমাধ্যমে তাঁদের চিকুর নাম প্রকাশিত না হওয়ায় খানিক ক্ষোভ ঝরে পড়ে ওই পরিবারের সদস্যদের গলায়।
কর্মকার পরিবার সূত্রে খবর, প্রলয় কর্মকার ওরফে চিকুর জন্ম বিবড়দা গ্রামের বাড়িতে হলে দু’বছর বয়সে বাবা অপূর্ব কর্মকারের কর্মসূত্রে দিল্লীতে চলে যায় সে। দিল্লীর এয়ার ফোর্স সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশুনা শেষ করে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক, ও ব্যাঙ্গালোর আই.আই.টি থেকে এমটেক করেন তিনি। পরে সাময়িকভাবে একটি সংস্থায় চাকরী করলেও ২০১৮ সালে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের ‘স্পেস অপারেটিং সিস্টেম গ্রুপের একজন আধিকারিক হিসেবে উৎক্ষেপন থেকে সফ্ট ল্যাণ্ডিং পর্যন্ত তার বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রলয় কর্মকারের কাকা নিতাই কর্মকার বলেন, চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পে বিশেষ ভূমিকায় ছিল আমার ভাইপো, ভাইপোর অংশগ্রহণে যুগান্তকারী এই ঘটনায় তাঁরা গর্বিত বলেই জানিয়েছেন। কাকিমা সুলেখা কর্মকারের আক্ষেপ তাঁদের চিকুর নাম কোন বাংলা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না হওয়ায়। খুড়তুতো বোন তানিয়া কর্মকারের কথায়, দাদার জন্য গর্ববোধ হচ্ছে, পরে এবিষয়ে একাধিকবার দাদার সাথে এবিষয়ে কথা হয়েছে বলেও সে জানায়।
চন্দ্রযান ৩ সফল অবতরণ ও এই কাজে গ্রামের ছেলে চিকু ওরফে প্রলয় কর্মকারের সক্রিয় অংশগ্রহণে খুশী বিবড়দা গ্রামের মানুষও। গ্রামবাসী তথা অভিনেতা-পরিচালক লক্ষীকান্ত মালাকারের উদ্যোগে একটি বিশেষ শর্ট ফিল্ম তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রামবাসী ও ওই শর্ট ফিল্মের অন্যতম অভিনেতা স্বপন কুমার দত্ত বলেন, আজ আমাদের গর্বের দিন, আনন্দের দিন। তবে বাংলা সংবাদমাধ্যম গুলিতে আমাদের চিকুর নাম থাকলে আরো ভালো লাগতো। এবার সে বাড়ি এলে গ্রামের তরফে সংবর্ধণা জানানো হবে বলে তিনি জানান।