eaibanglai
Homeএই বাংলায়বাঁকুড়ার বিষ্ময় বালক রেকর্ড গড়ল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে

বাঁকুড়ার বিষ্ময় বালক রেকর্ড গড়ল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে

সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:– শধু জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক স্তরে রেকর্ড করে চমকে দিয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ময় বালক। বয়স মাত্র ৯ বছর। সবে মাত্র তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। আর এই বয়সেই জাতীয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তার হাতের মুঠোয়। এই খুদে ৬০টি আবিস্কারকের নাম মাত্র এক মিনিটে ঝড়ের গতিতে বলতে পারে। এই অসাধারণ স্মৃতিশক্তির প্রতিভা সবাইকে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে। আর তার এই বিরল প্রতিভা স্বীকৃতি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টারন্যাশানাল ও ইণ্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে।

এই বিষ্ময় বালকের নাম অঙ্কুশ মাজী। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের দেউচা গ্রামের বাসিন্দা হলে বাবার কর্মসূত্রে বাস রুলিয়ার সাওতালডিহিতে। কারণ বাবা সন্দীপ মাজী সাওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত। মা টুম্পা মাজী গৃহবধূ। প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক এত ছোট বয়সে এতকিছু শিখল কি করে অঙ্কুশ। অঙ্কুশের মা-বাবা জানান ছোট থেকেই প্রবল স্মৃতিশক্তির অধিকারী তাঁদের ছেলে। একবার কিছু বললেই তার মনে থেকে যায়। সন্দীপবাবু ও তাঁর স্ত্রী জানান দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নানান রেকর্ড তৈরি করছে। তা দেখে তাঁরা তাঁদের ছেলের প্রতিভা তুলে ধরেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে এবং ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। দুই সংস্থার বিচারেই প্রতিভার স্বীকৃতি মেলে অঙ্কুশের। সেই মতো বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যায় সার্টিফিকেট, মেডেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী।

তবে শুধু প্রবল স্মৃতিশক্তিরই অধিকারী নয় অঙ্কুশ, সে নাচ,গান, কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকাতেও যথেষ্ট পটু। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার ও সার্টিফিকেটে ভর্তি হয়ে গিয়েছে বাড়ির আলমারি। এত প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের ছেলে বড় হয়ে একজন ভালো মানুষ হোক, এমনটাই চাওয়া মাজী দম্পতির।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments