eaibanglai
Homeএই বাংলায়ছাত্রীদের শরীর ছুঁয়ে, নোংরা মেসেজ পাঠাচ্ছেন তিন শিক্ষক, ঘেরাও স্কুল

ছাত্রীদের শরীর ছুঁয়ে, নোংরা মেসেজ পাঠাচ্ছেন তিন শিক্ষক, ঘেরাও স্কুল

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান:- তরুণী ছাত্রীদের মোবাইলে রাতের পর রাত যৌনতায় ভরা টেক্সট মেসেজ, নোংরা ইঙ্গিতের ছবি পাঠাচ্ছেন শিক্ষকেরা। বিশেষ কোচিংয়ের নামে ডেকে শরীরের যত্র তত্র খুশিমতো হাত বোলাচ্ছেন মাষ্টারমশাইএরা। এনিয়ে প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি, গণস্বাক্ষরের চিঠিকেও বিশেষ আমল দেইনি স্কুল।

তাই, খেপে গিয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক সহ অভিযুক্তদের স্কুলেই আটকে রাখলেন ছাত্রীদের অভিভাবকেরা। লাগাতার চেষ্টা করেও বিক্ষুব্ধ অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের হঠাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

কালনার পূর্বস্থলির কাষ্ঠশালী নিভাননী উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের রাতে মেসেজ বক্সে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর পাসাপাসি তাদের বিভিন্নভাবে পড়ানোর নাম করে তাদের গোপন জায়গায় হাত দেওয়ার অপকর্ম চলছিল কয়েক সপ্তাহ যাবত। বিষয়টি জানতে পেরে গোড়ায় শিক্ষকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনায় বসতে চাইলে সেটিকে নাকি আমল দেয়নি স্কুল, বলে অভিযোগ।

এরপরেও ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার।

এমনই অভিযোগের পর এদিন বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির মুহূর্তে স্কুলে অভিভাবক এবং এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। বিক্ষুব্ধ অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীদের দাবি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে হবে।

লাগাতার ঐ বিক্ষোভের যেতে ঘটনারস্থলে পূর্বস্থলী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছলেও প্রতিবাদীদের নড়ানো যায়নি এদিন রাত পর্যন্ত। পূর্বস্থলী থানার পুলিশের সাথেও বাকবিতন্ডা হয় এলাকাবাসীর। এরপরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন মন্ডলের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল ঘরের সামনে আবারো বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিজয় সরদার এদিন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের সামনে অস্বীকার করলে আগুনে ঘের পড়ে। অন্য দুই অভিযুক্ত শিক্ষকের এদিন অবশ্য কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে নিরঞ্জন মন্ডল বলেন, “স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তরফে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই অভিযোগটি পূর্বস্থলী থানা পুলিশের কাছে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। তারাই যা আইনানুর ব্যবস্থা তা নেবেন।” তিনি এদিন জানান, “এটি পুলিসের তদন্তের বিষয়, এক্ষেত্রে স্কুল আর কিছুই করতে পারবে না।” জানা গিয়েছে স্কুলেরই শিক্ষক আলমগীর হোসেন, সত্যজিৎ চৌধুরী ও বিজয় সরদারের বিরুদ্ধে উঠেছে ছাত্রীদের এইভাবে হেনস্থার অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ সত্যজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বাজে ভাবে টাচ করেন। অন্যদিকে বিজয় নিজের সাথে নানান মেয়ের নাম জড়িয়ে তার সাথে ছাত্রীদের সম্পর্ক রয়েছে, তার সাথে বিয়েও করবে, এমন বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ। তিনজনের বিরুদ্ধেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষর কাছে। ঘটনার জেরে অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তারির দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments