নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: নামি কোম্পানির বিস্কুটে খাবার অযোগ্য রং, নামি কোম্পানির হলুদে টিনের অসিত্ব এবং চানাচুরে ক্ষতিকারক পদার্থ। তাই, ওই বিস্কুট (আনমোল ই-টাইম), হলুদ গুঁড়ো (কুকমি) আর চানাচুর (মনসা মাতা) কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে বাজার থেকে জলদি তুলে নিতে এদিন নির্দেশ দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি নামি কোম্পানির বিস্কুট, জুন মাসে একটি কোম্পানির চানাচুর এবং এই বছরেই গত জুলাই মাসে একটি নামি কোম্পানির হলুদ গুঁড়ো নিয়ে স্যাম্পেল সার্ভে করে পূর্ব বর্ধমান জেলা ফুড সেফটি দপ্তর। আর তাতেই মিলেছে এই ক্ষতিকারক পদার্থের অস্তিত্ব। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই রিপোর্ট আসার পর এবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে গলসী ২ ব্লকের একটি দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয় বহুল প্রচারিত একটি নামি কোম্পানির ৩০৬ গ্রামের বিস্কুটের প্যাকেট। এই বছরেই জুন মাসে রায়না ২ ব্লক থেকে সংগ্রহ করা হয় একটি কোম্পানির ৫০০ গ্রাম চানাচুরের প্যাকেট। একইভাবে জুলাই মাসে মেমারী ২ ব্লক থেকে সংগ্রহ করা হয় একটি নামি কোম্পানির ৫০০ হলুদ গুঁড়োর প্যাকেট। এই সমস্তই পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়। সম্প্রতি সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে এবং এই তিনটি ক্ষেত্রেই ‘আনসেফ’ বলে রিপোর্ট এসেছে। এরপরই দপ্তর থেকে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) তথা জেলা ফুড সেফটি অফিসার ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন , প্রতিমাসে ২০০-২৫০ রুটিন মাফিক বিভিন্ন দ্রব্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই তিনটি খাদ্য পণ্যের পরীক্ষার রিপোর্ট এই সপ্তাহেই এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, রিপোর্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মামলাও করা হবে। হলুদে অতিরিক্ত টিন, বিস্কুটে খাবারের অযোগ্য রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি পণ্যের চারটে করে স্যাম্পেল নেওয়া হয়। সংগ্রহ করা নমুনায় স্বাক্ষরও করা আছে। ওরা চ্যালেঞ্জ করলে আমাদের কাছে থাকা স্যাম্পেল নিয়ে আবার পরীক্ষা করা হবে। একই রিপোর্ট এলে মামলা করা হবে। চ্যালেঞ্জ না করলেও মামলা করা হবে। যদিও নমুনা সংগ্রহের এতদিন পরে রিপোর্ট আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একটি সূত্রে জানাগেছে, রাজ্যের ফুড সেফটি ল্যাবরেটরিতে একজনই ফুড অ্যানালিস্ট আছে। কোনও নমুনা সংগ্রহের পরে পরীক্ষা হয়ে রিপোর্ট আসার আগে কিছু জানা যায় না। সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই ওই ‘আনসেফ’ প্রোডাক্ট বিক্রি হয়ে যায়।