eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিজেপির ঘেরাও কর্মসূচি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের

বিজেপির ঘেরাও কর্মসূচি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের

এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– আজ ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার ধর্মতলায় বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মী সমর্থরা দলেদলে যোগ দিয়েছেন এই জনসভায়। আর এই কর্মসূচির পল্টা হিসেবে রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় সমস্ত বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাস হয়েছে এই অভিযোগে গতকালই কলকাতায় মহা মিছিল করে বিজেপি। আর সেই মিছিল থেকেই স্পষ্টভাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঘটা সন্ত্রাস এবং অশান্তির প্রতিবাদে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে। আর তার জন্য একুশে জুলাই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপির এই ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে কোনোরকম অশান্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে দুর্গাপুর মহকুমার সমস্ত বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মহকুমা অফিস ও বিডিও অফিসগুলির একশো মিটার চত্বরের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। বিডিও অফিস চত্বরে কোনও জমায়েত, স্লোগান বা বিক্ষোভ দেখানো যাবে না।

অন্যদিকে বিজেপির এই কর্মসূচিকে ফুটেজের রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, “বিজেপির যদি সদিচ্ছা থাকত, তাহলে তারা ২২ তারিখ বা ২৩ তারিখে, বা ২০ তারিখে কর্মসূচি করতে পারত। ঘেরাও করার অধিকার সবার আছে। গণতান্ত্রিকভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি বা গণআন্দোলন করার অধিকার যেমন শাসক দলের আছে, বিরোধীদেরও আছে। কিন্তু ২১ তারিখই কেন বেছে নেওয়া হল? কারণ ওরা ফুটেজে থাকতে চায়। ওরা ফুটেজের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments