eaibanglai
Homeএই বাংলায়সারা দেশের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও বন্ধ ফিটজি সেন্টার, বিক্ষোভ অভিভাবক ও পড়ুয়াদের

সারা দেশের পাশাপাশি দুর্গাপুরেও বন্ধ ফিটজি সেন্টার, বিক্ষোভ অভিভাবক ও পড়ুয়াদের

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বছরের প্রথম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বেসরকারি কোচিং সংস্থা ফিটজির (ফোরাম ফর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন) সেন্টারগুলি বন্ধ হওয়ার খবর উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ভোপাল, বারাণসী, দিল্লি, পাটনা সহ বিভিন্ন শহরের সেন্টারগুলি একের পর এক বন্ধ হওয়ায় পর এবার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের সেন্টারটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েকশো পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা।

টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে রবিবার সিটিসেন্টারের ফিটজি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। অভিযোগ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে যখন সংস্থার একের পর এক সেন্টার বন্ধ হয়ে চলেছে তখন দুর্গাপুরের সেন্টারে নতুন সেশনের জন্য অ্যাডমিশন নেওয়া হয়েছে। অভিভাবকরা জানান কেউ এক লাখ, কেউ দেড় লাক্ষ আবার কেউ কেউ দু লাখ টাকা অ্যাডমিশন ফি দিয়ে বাচ্চাদের ভর্তি করেছেন। তখন কর্তৃপক্ষ ঘুনাক্ষরেও জানতে দেয়নি সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিন পরিমল অচার্য সহ অন্যান্য অভিভাবকরা জানান, দেশজুড়ে যখন একের পর এক সেন্টার বন্ধ হচ্ছে তখন (২৫.১.২০২৫) অভিভাবকেরা সকলে মিলে সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দুপক্ষ একটি চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন। চুক্তিতে কৃর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল সেন্টার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অ্যাডমিশন ফি সহ সমস্ত টাকা ফেরৎ দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো রবিবার তারা সেন্টারে খোঁজ নিতে এসে দেখেন সেন্টার ইনচার্জ নেই। থানায় অভিযোগ জানিয়ে পুলিশ নিয়ে তার বাড়িতে গেলেও সেন্টার ইনচার্জের খোঁজ মেলেনি। এরপরই টাকা ফেরতের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। অবশেষে দুর্গাপুর থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

অন্যদিকে এক অভিভাবিকা পম্পা মণ্ডল জানান তারা প্রতারিত হয়েছেন। বেশিরভাগ পড়ুয়াই এবছর বোর্ড এক্সাম দিচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল এন্ট্রান্স এক্সামের জন্য অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের এই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করেছিলেন। এখন কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ অন্যান্য কোচিং সেন্টারগুলিতে অ্যাডমিশনের সময় পেরিয়ে গেছে। ফলে এই মুহুর্তে অন্য কোথাও তাদের ভর্তি করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে একটা বিশাল অঙ্কের টাকাও খোয়া গেল।

প্রসঙ্গত গত মাসের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ফিটজি সেন্টারগুলিতে যখন তালা ঝুলছে তখন অভিভাবকদের অভিযোগের ভত্তিতে সংস্থার মালিক সহ ১১ জনকে আটক করে নয়ডা পুলিশ। এরপরই তড়িঘড়ি সংস্থার তরফে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় “নিজের সিদ্ধান্তে ফিটজি তার কোনো কোচিং সেন্টার বন্ধ করেনি। সেন্টারগুলির ম্যানেজিং পার্টনার, তাদের টিমের সদস্যরা কোচিং সেন্টার ছেড়ে হঠাৎ করেই চলে যাওয়ার কারণে বেশ কিছু সেন্টার বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের এই বর্তমান টানাপোড়েন ক্ষণস্থায়ী। সংস্থার আধিকারিকরা স্থিতাবস্থা আনার জন্য যারপরনাই চেষ্টা করছেন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে”।

জানা গেছে লাইসেন্সিং এবং ফায়ার সেফটি নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য ফিটজির শাখাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় আগেই। আর এর জেরে সংস্থায় তৈরি হয় আর্থিক সঙ্কট। বর্তমানে সারা দেশজুড়ে ৪১টি শহরে মোট ৭২টি শাখা রয়েছে ফিটজির। যেখানে মোট ৩০০ জন কর্মী কাজ করেন। আইআইটি, নিট ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কোচিং দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments