সন্তোষ কুমার মণ্ডল,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে সূত্র খুঁজতে ঘটনার প্রায় সাত দিন পর শুক্রবার আবারও ঘটনাস্থল পরাণগঞ্জের জঙ্গলে তদন্ত চালাল ফরেনসিক দল।
এদিন সকালে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের সঙ্গে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অদূরে পরাণগঞ্জের জঙ্গলে পৌঁছয় চার সদস্যের ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল ভালোভাবে খতিয়ে দেখেন ফরেনসিক সদস্যরা। প্রসঙ্গত ঘটনা ঘটার পর প্রথমে যে জায়গা কর্ডন করা বা ঘিরে দেওয়া হয়েছিল তার পাশাপাশি আরও ৫০ মিটারের মতো জায়গা নতুন করে ঘেরা দেওয়া হয় গতকাল। যা দেখে তদন্তে নতুন সূত্রে মিলেছে বলে জল্পনাও শুরু হয়েছিল। এদিন নতুন করে ঘেরা জায়গা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। যদিও সংবাদ মাধ্য়মের সামনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি ফরেনসিক দল ও পুলিশের কেউ।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত প্রত্যেকের জামাকাপড় বাজেয়াফত করেছে। যেগুলো ঘটনার দিন তারা পড়েছিলো। সবার মেডিক্যাল ও ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। এখন পুলিশ সবকিছু নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গতঃ, গত শুক্রবার ১০ অক্টোবর রাতে দুর্গাপুরের শোভাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রী তার পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযোগ কিছু দুষ্কৃতী তাদের পথ আটকায় ও পরাণগঞ্জের জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত পাঁচজনের পাশাপাশি নির্যাতিতার সহপাঠী পুরুষ বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যদিও পরে আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্রীকে একজনই ধর্ষণ করেছে। যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়।





