জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরাঃ- সিবিআই, ইডি, সিআইডি, পুলিশ ইত্যাদি এজেন্সির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরেই ধিকিধিকি করেই বাড়ছিল। প্রত্যেকটি বিরোধী দলের অভিযোগ – বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য শাসকদল, কেন্দ্র বা রাজ্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এইসব এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করে চলেছে। কেন্দ্রের শাসকদলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তাদের পেছনে সিবিআই ও ইডিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতীতে কম থাকলেও বর্তমানে এই প্রবণতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী প্রতিটি দলই তাদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি। তাদের মূল অভিযোগ একই অপরাধের জন্য শাসক দলের নেতারা ছাড় পেলেও সিবিআই ও ইডিকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে গুসকরা শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ১২ ই আগষ্ট এক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়।
দলের সর্বস্তরের নেতাদের উপস্থিতিতে মিছিল শুরু হয় গুসকরা বারোয়ারি তলা থেকে। গুসকরা বাসস্ট্যান্ড, স্কুলমোড়, পুরসভার পাশ দিয়ে মিছিল পুনরায় বারোয়ারি তলায় এসে শেষ হয়। প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে সামিল হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য কড়া পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। মিছিলের জন্য এক সময় যানজটের সৃষ্টি হলে গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার ও আউশগ্রাম-১ নং ব্লক সভাপতি সালেক রহমান , অরূপ সরকার, প্রশান্ত গোস্বামী, মলয় চৌধুরী, উৎপল লাহা, তন্ময় গোস্বামী, সৌম্যদীপ চ্যাটার্জ্জী, দেবাংঙ্কুর চ্যাটার্জ্জী, আইটি সেলের রবিনাথ আঁকুরে, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা এবং গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জী। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত ভাষণে কুশল বাবু বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডির অপব্যবহারের জন্য বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার বক্তব্য – আমাদের দল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়না। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে যেভাবে অকারণে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়। এর আগে চিটফাণ্ড কাণ্ডে আমাদের দলের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার অভিযোগ এক জনকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দ্যাখা গ্যাছে অথবা চিটফাণ্ড কর্তা লিখিত ভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তার কোনো তদন্ত হয় না। কারণ তিনি বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। সারা দেশে একই কাণ্ড ঘটছে। আমাদের প্রতিবাদ এই একপেশে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।