সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ– হুগলি জেলার মধ্যে শৈব তীর্থ তারকেশ্বর বাংলার শিব ভক্ত মানুষের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত স্থান বলে পরিচিত। শৈব ভক্তের পাশাপাশি শাক্ত,বৈষ্ণবরাও এই তীর্থক্ষেত্রে আসেন মনস্কামনা জানিয়ে পুজো করতে, কারণ বাবা তারকনাথ সবার। হিন্দু মুসলিম সবার জন্যই তার অবারিত দ্বার খোলা। তাই বহু দূর দূরান্ত থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাবার মন্দিরে মানুষ মনস্কামনা জানিয়ে পুজো করতে আসে।
বাবার মন্দিরে নিজের মন বাঞ্ছা জানিয়ে ধর্না দেওয়ার ফলে অনেকেই তার মনস্কামনা পূর্ণ করতে পেরেছেন, সেরকমই একটি কাহিনী এর আগের দিন শুনিয়েছিলাম, পাটকাঠিতে গঙ্গাজল আনয়ন। এইবার অন্য এক ধর্নায় বসা ভক্তের প্রতি তারকনাথ দেবের প্রত্যাদেশের কাহিনী শোনাবো। লীলা ময় তারকনাথ লীলা ছলে কীভাবে সেই ভক্তকে কৃপা করেছেন সেই কাহিনী আজ বলবো।
১৩১৯ সালের ২২শে জ্যৈষ্ঠ হাওড়া থেকে একজন মহিলা ভক্ত তারকেশ্বরে আসেন তার মনস্কামনা জানাতে। তার ছোট্ট শিশু ছিল অন্ধ, তাই সেই শিশুর আরোগ্য লাভের জন্য ধর্নায় আসেন ওই ভক্ত মহিলা। তিন রাত উপবাস করবার পর ধর্নার সময় বাবার আদেশ হয়, পিছনের চরণামৃতের কুণ্ড থেকে চরণামৃত নিয়ে চক্ষুতে লাগালেই শিশু চক্ষু ফিরে পাবে। দেবতার আদেশ শুনে ওই ভক্ত তৎক্ষণাৎ সেই কার্য করে আর তারপর অসম্ভব সম্ভব হয়, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায় তার শিশু সন্তান এবং প্রথমেই মায়ের মুখ দর্শন করে। এইভাবেই বাবা তারকনাথ যুগে যুগে বহু ভক্ত মানুষকে কৃপা করেছেন।