শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ- শুশুনিয়া পাহাড় ছেয়েছে লাল পলাশে। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে সারা বছর জুড়েই। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চের প্রথম সপ্তাহে দূর দূরান্তের পর্যটকরা আসেন শুশুনিয়া পাহাড়ে বসন্তের স্বাদ নিতে। এই সময় লাল পলাশে রাঙা হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার এই শুশুনিয়া পাহাড়। বাঁকুড়ার উত্তরভাগের শুশুনিয়া হোক বা দক্ষিণ বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর-রাণীবাঁধ পলাশের উপস্থিতি সর্বত্রই।
অনান্য বার এই সময় পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে থাকলেও এই বছর সেভাবে দেখা নেই। কলকাতার দমদম থেকে আসা শতাব্দী চৌধুরীর কথায়, ‘শুশুনিয়ায় পলাশের যা সৌন্দর্য উপভোগ করলাম তা অসাধারণ, এটা বলে প্রকাশ করা যায় না’। তবে স্থানীয় এক পাথরশিল্পী তারকনাথ রায় বলেন, ‘পাহাড়ে বসন্তের পলাশ ফুল দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সেভাবে পর্যটকদের দেখা নেই।’ শুশুনিয়া ইকো পার্কের পরিচালক বিধান দত্ত বলেন, ‘এখন পার্কে কিছু পর্যটক আছেন তবে অনান্য বছরের তুলনায় কম, পলাশের সমারোহ থাকে বলে প্রতিবছর দোলের সময় আমাদের ইকো পার্কে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়, তখন ভিনদেশের অনেক পর্যটক আসেন’।
অন্যদিকে মুকুটমণিপুরেও কংসাবতী জলাধার সংলগ্ন এলাকায় ফুটেছে পলাশ, কিন্তু সেখানকার এক ব্যাবসায়ী সমর কর্মকার বলেন পর্যটকের তেমন দেখা নেই মুকুটমনিপুরে। পলাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইট কাঠের জঙ্গল ছেড়ে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকুড়ায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গেই পলাশের শোভা দেখতে হলে ঘুরে দেখতে পারেন শুশুনিয়া পাহাড়, সুতান, তালেবেড়িয়া ড্যাম, বারোমাইলের জঙ্গল, মশক পাহাড়, বামনিসিনি ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি বিজড়িত ছেঁদাপাথর, বেলপাহাড়ী, ঝিলিমিলি, দুয়ারসিনিও। এছাড়াও জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে নানান ভিউ পয়েন্ট। লাল পলাশের সৌন্দর্যের মাঝে চোখের নজরে চলেও আসতে পারে ময়ূর-ময়ূরী বা হরিনের দল।