eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্মোচিত হলো জগদীশ চন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্মোচিত হলো জগদীশ চন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি

নীহারিকা মুখার্জ্জী, চব্বিশ পরগণাঃ- দীর্ঘদিন ধরেই পাঠদান থেকে শুরু করে সৌন্দর্যায়ন – সব ক্ষেত্রেই বৈচিত্র্যের পরিচয় দিয়ে চলেছে বিখ্যাত বাঙালি বৈজ্ঞানিক আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর স্মৃতিধন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি অন্যান্য মনীষীর মূর্তি থাকলেও এতদিন বিদ্যালয় চত্বরে জগদীশ চন্দ্র বসুর কোনো পূর্ণাঙ্গ মূর্তি ছিলনা। এটা নিয়ে এলাকার সবার মধ্যে একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছিল। অবশেষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে বৈজ্ঞানিকের জন্মদিনেই সেই আক্ষেপ দূর হয়।

৩০ শে নভেম্বর ছিল বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের ১৬৫ তম জন্মদিন। জন্মদিনকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইবার দিয়ে তৈরি আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর পূর্ণাঙ্গ মূর্তির আবরণ উন্মোচিত হয়। উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পরে বৈজ্ঞানিকের মূর্তির পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান
করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ত ও সড়ক কর্মাধ্যাক্ষ জাহাঙ্গীর খান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অজিত কুমার নায়েক, ফলতা পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পিয়ালী বড়ুয়া, ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্চিতা মণ্ডল ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আতিকুল্লা মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্য শ্রীকৃষ্ণ সাহা ও সদস্যা তনুশ্রী সাঁপুই, ফলতা পঞ্চায়েত প্রধান শর্বরী হালদার সরদার ও উপ-প্রধান আব্দুল মান্নান, সাধন চন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ শেখ ফজলুল হক, মার ইভানোস বেথানি বিদ্যালয়ের প্রধান ফাদার এভিন, ফলতা থানার আইসি অমরদীপ বিশ্বাস ও কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বিশ্বজিৎ মালাকার সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি বক্তা বিখ্যাত বাঙালি বৈজ্ঞানিকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং বিদ্যালয়ের সম্মান বজায় রাখার জন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

পিয়ালী দেবী বলেন – আমাদের সৌভাগ্য এই বিদ্যালয়ে এক সময় পাঠদান করেছেন বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু। তাঁর স্মৃতিধন্য বিদ্যালয়ের সম্মান আরও উঁচুতে তুলে ধরতে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এই বিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক বাবুর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য – আজ আমাদের গর্বের দিন। যিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান তাঁর সম্পর্কে বলার কিছু নাই। বিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধির জন্য তিনি প্রত্যেকের সহযোগিতা কামনা করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments