সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- আজ ভূত চতুর্দশী। কথিত আছে ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ রকম ভূতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ১৪ শাক খাওয়া হয় ও সদর দরজার সামনে একটা প্রদীপ জ্বালানো হয়। ভূত অর্থাৎ অশরীরি আত্মা। ভূত চতুর্দশীর দিন চলুন জেনে নিই ১৪ ভূতের নাম!
১।ব্রহ্মদৈত্য
২।পেত্নী,
৩।শাকচুন্নি,
৪।ডাইনী,
৫।স্কন্ধকাটা-মাথাবিহীন ভূত,
৬।মেছোভূত-মাছলোভী ভূত,
৭।পেঁচাপেঁচি- জোড়া ভূত,
৮।মামদো ভূত,
৯।নিশি- খুব ভয়ংকর ভূত,
১০।কাঁদরা-মা-অনেকটা নিশির মত ভূত
১১।চোরাচুন্নি- কোনো চোর মারা গেলে চোরাচুন্নি ভূত হয়ে যায়।
১২।কানাখোলা- নির্জন কোনো চরাচরে মানুষকে একা পেলে তার গন্তব্য ভুলিয়ে দিয়ে ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয় এই দুষ্টু ভূত
১৩।আলেয়া- এটি জলাভূমির ভূত। এরা জেলেদেরকে বিভ্রান্ত করে।
১৪। দেও- এইধরনের ভূত নদীতে বাস করে আর এরা খুব ভয়ঙ্কর, এরা লোকজনকে জলে ফেলে ডুবিয়ে মারে।
যদি আজ রাতে আপনি ও কোনো অশরীরীর সম্মুখীন হন তাহলে ভয় না পেয়ে জয় গীতা, জয় গীতা বলুন এতে অশরীরীর প্রভাব কেটে যাবে। এছাড়া গীতা সর্বক্ষণ নিজের কাছে রাখলেও কোনো অশরীরীর প্রভাব আসবে না, আপনার ওপর। গীতা গ্রন্থ যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়ি ১৪ ভূতের প্রভাব মুক্ত হয় সর্বদা।