eaibanglai
Homeএই বাংলায়মহালয়াতেই বিসর্জন ১১২ ফুটের মা, পুজো বন্ধে হাহাকার

মহালয়াতেই বিসর্জন ১১২ ফুটের মা, পুজো বন্ধে হাহাকার

সংবাদদাতা,নদীয়াঃ– বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে চেয়েছিলেন নদীয়ার রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ ক্লাব‌। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১১২ ফুটের দীর্ঘ দুর্গা প্রতিমা তৈরি করবেন। কিন্তু এই পুজোর ক্ষেত্রে একটি আইনি জটিলতা দেখা যায়। ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমার বিষয়ে নদীয়ার জেলাশাসক অনুমতি দেন না। এরপর পুজো উদ্যোক্তা কমিটিদের কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয়। আসলে ১১২ ফুটের দীর্ঘ এই দুর্গা প্রতিমা সম্পর্কে নদীয়ার জেলা শাসকের বক্তব্য ছিল, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল , পুলিশ , বিডিও ও রানাঘাটের মহকুমা শাসক উদ্যোক্তাদের কিছু আবেদন বাতিল করেছেন। বিদ্যুৎ দফতর এই প্রসঙ্গে বলেন, ওই পুজো কমিটি প্রতি দিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচা হওয়ার কথা জানিয়েছেন কিন্তু আসলে প্যান্ডেলের যে আয়তন তাতে ২০-২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এক‌ইসাথে দীর্ঘ এই ঠাকুর দেখবার জন্য স্বাভাবিকভাবেই পুজোর দিনগুলোতে মানুষজনের ভিড় উপচে পড়বে, তাতে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন প্রশাসন, খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও এই পুজোয় ভিড় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এরপর ৩রা সেপ্টেম্বর পুজো কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে পুজোর অনুমতি চেয়ে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আদালত পর্যন্ত এই বিষয়টা গড়ায়। পুজো বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নদীয়ার জেলাশাসককে পুজোর বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে বললেও জেলাশাসক অনুমতি দেন না। এরপর উদ্যোক্তারা পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।

উদ্যোক্তারা জানান, আদালতে গিয়ে মামলা লড়বার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই তাদের কাছে, তাই পুজো বন্ধ রাখবেন তারা। যে পুজো উদ্যোক্তা আদালতে গিয়েছিলেন তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আদালত জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন আমাদের, যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়। আসলে এই পুজোটায় একটা গোটা গ্রামকে তুলে আনার প্রয়াস ছিল। গ্রামের পরিকাঠামোই উন্নত হত। কারণ গ্রামের ছেলেমেয়েরাই কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এটা গ্রামবাসীদেরই টাকা। আদালতে যাওয়ার মতো, গ্রামবাসীদের কাছে আর টাকা নেই। চাঁদা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিটুকুও নেই। আদালতে গেলে তো পয়সা লাগে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments