eaibanglai
Homeএই বাংলায়"কেষ্টর দয়ায় টিএমসি চলে" তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

“কেষ্টর দয়ায় টিএমসি চলে” তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তৃণমূল দলের ব্যবস্থা নেওয়ার হিম্মত নেই। দুর্গাপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কুকথা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে এভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মায়াবাজারের এক চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানেই একাধিক রাজনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সাথে পুলিশ আধিকারিকের কথোপকথন প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আরে যে পার্টিকে পুষে রেখেছে, খাওয়াচ্ছে লোকেদেরকে, তাঁর বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নেবে? তাঁর দয়ায় টিএমসি পার্টি চলে। তাঁর মতো কিছু নেতা টাকা পয়সা দিয়ে ভোটে জিতিয়ে পার্টিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যতোই বয়ানবাজি করুন যতোই নিউজ করুন, কেষ্টর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হিম্মত টিএমসির নেই। ওনারা যতোদিন টিএমসিতে আছেন ততদিন টিএমসি বেঁচে আছে। নীতি আদর্শ কিছু নেই। কিছু ধান্ধাবাজ নেতা আর দুর্বৃত্ত টিএমসি চালাচ্ছে। ইললিগাল সোর্স থেকে টাকা আসে তাতেই টিএমসি বেঁচে আছে।”

অনুব্রতর পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেও এদিন একহাত নেন বিজেপির এই প্রবীন নেতা। এই দুই নেতাকে সমাজ বিরোধী তকমা দিয়ে একঘরে করার নিদান দেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন “মন্ত্রী ববি হাকিম ও পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সমাজ বিরোধী, এঁদের একঘরে করে রাখা উচিত। ওরা ভাবছে একবার ভোটে জিতে গেছে বলে রাজা হয়ে গেছে,যা ইচ্ছা তাই বলবে?”

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম “অপারেশন সিঁদুর”এর কৃতিত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী তাঁদের জীবন দিয়ে, তাঁদের সামর্থ দিয়ে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে । এখানে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কৃতিত্ব নেই। বরং একটা বড় দেশের ভয়ে সেনাবাহিনীকে আটকে দিয়েছেন, কাপুরুষের মতো। সেটা অন্যায়।” অন্যদিকে দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরের এক কর্মীসভায় “অপারেশন সিঁদুর” কে যুদ্ধ যদ্ধ খেলা বলে কটাক্ষ করে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “কীভাবে সিঁদুর খেলা শুরু করেছে বিজেপি সরকার ! দেখছেন তো ? গোটাটাই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। গোটাটাই নাটক। পাকিস্তানের সঙ্গে ফিটিং করে এই খেলা। চিত্রনাট্য। পুরো কাশ্মীর জুড়ে মিলিটারি থাকে। ইনসাস রাইফেল নিয়ে প্রহরায় থাকে। তাহলে পহেলগাঁওয়ে কেন সেদিন সেনাবাহিনী ছিল না ? আসলে এটা ছিল একটা চিত্রনাট্য।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিয়ের পর পথমবার স্ত্রীকে নিয়ে দুর্গাপুরে এসেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বুধবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে শহরের রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলিপীবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরাও।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments