সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণের জেরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে গেল ফুটপাথের একাধিক দোকান। লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী ভষ্মীভূত। আর্থিক সাহায্য এবং ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ছোট দোকানীরা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিন থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জিটি রোডের রাহা লেন সংলগ্ন ফুটপাতের দোকানে। সোমবার সকাল ছটা নাগাদ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ওই এলাকায় থাকা একটি ট্রান্সফরমারে এদিন সকাল ছটা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের স্ফুলিঙ্গ থেকে ফুটপাথের দোকানে আগুল লেগে যায়। নিমেষে আগুনের লেলিহান শিখা ছটিরও বেশি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ফুটপাথের দোকানগুলি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে কয়েকটি কাপড় এবং মোবাইল ফোনের সামগ্রীর দোকান রয়েছে।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীদের অভিযোগ এলাকর ওই ট্রান্সফরমারটিতে প্রায়ই বিস্ফোরণ ঘটে। ট্রান্সফরমারের খারাপ অবস্থা নিয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলার কারণে এদিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা জেলা প্রশাসন, আসানসোল পুরনিগম এবং রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
দমকল আধিকারিকরাও স্থানীয়দের অভিযোগকেই শিলমোহর দিয়েছেন। তাঁদের মতে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ট্রান্সফরমার থেকে নির্গত স্ফুলিঙ্গ থেকেই দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
অন্যদিকে এদিনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য ট্রান্সফরমারের নিয়মিত পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।





