eaibanglai
Homeএই বাংলায়'শরীর ভালো নেই' কলকাতা যাওয়ার পথে বলে গেলেন অনুব্রত

‘শরীর ভালো নেই’ কলকাতা যাওয়ার পথে বলে গেলেন অনুব্রত

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- বৃহস্পতিবার, ২০১০ সালে মঙ্গলকোট বিষ্ফোরণ মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। সেইমতো এদিন ভোরে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসানসোল জেলা সংশোধনাগার থেকে কলাকাতায় নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ তাকে আসানসোল সংশোধানাগার থেকে বার করে একটি একটি বাতানুকূল গাড়িতে তোলা হয়। নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তাই রীতিমতো পুলিশ গাড়ি স্কোয়াড করে তাকে নিয়ে যায়। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।

প্রসঙ্গত বাম আমল তথা ২০১০ সালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ অন্যদিকে সেই সময় ২০০৯ সাল থেকেই কেতুগ্রাম মঙ্গলকোট এলাকায় তৃণমূল সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল । সেই সময় মঙ্গলকোট বিষ্ফোরণ মামলায় মঙ্গলকোট থানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। চার্জশিটেও তার নাম ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় আসার পর অনুব্রত মণ্ডলের দাপট বাড়ে। তাই তখন আর তাকে বিষ্ফোরণ মামলায় আইন-আদালত করতে হয়নি বলেই মনে করেন ওয়াকিবহল মহল। কিন্তু গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাই এখন যদি ওই মামলায় তিনি যদি হাজিরা না দেন তাহলে পুলিশের দিকে আঙুল উঠতে পারে। এই কারণেই ওই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই মনে করছেন অনেকে।

অন্যদিকে কলাকাতা যাওয়ার পথে এদিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি বলে যান তার শরীর ভালো নেই ৷ সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা যাওয়া-আসা নিয়ে বেশ খানিকটা ভীতই ছিলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। তাই কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি তার শরীরের দিকেও নজর রাখা হয়েছে। সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ওষুধপত্র।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments