eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাজেশ বাউড়ি খুনের পুনর্নিমাণ

বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাজেশ বাউড়ি খুনের পুনর্নিমাণ

সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাজেশ বাউরি খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করলো সালানপুর থানার পুলিশ। সালানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত হাটির নেতৃত্বে চলে পুনর্নিমাণ। শনিবার সকালে রাজেশের খুনে জড়িত অমিত বাউরি,ভাদু বাউরি ও পদ্মাবতী সোরেনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করে।

প্রথমে খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিডির চেক ড্যাম্পে, সেখানে উদ্ধার হয় খুনের সময় ব্যাবহৃত রড। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কাশিডাঙ্গার জঙ্গলে, সেখানে কীভাবে কোন স্থানে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে গর্তের ভিতরে চাপা দেওয়া হয় সেই পুরো ঘটনা করে দেখায় অভিযুক্তরা। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জেমারির প্রমীলা এবং ফেমাস নার্সারির কাছে, সেখানে রাজেশ বাউরিকে কীভাবে খুন করা হয়েছে তার পূর্ননির্মাণ করা হয়। কিভাবে রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয় এবং তারপর কিভাবে তার মৃত্যু হয় সেইসব নাটকের মাধ্যমে পুনরায় করে দেখায় অভিযুক্তরা। খুনের পর রাজেশ বাউরির মোটর সাইকেলটি আল্লাডি মোড় সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলা দেওয়া হয়ছিল, তারও পুনরনির্মাণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর সালানপুর থানার জেমারি এলাকার বাসিন্দা রাজেশ বাউড়ির বস্তাবন্দী পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় কাশিডাঙ্গার জঙ্গলের মধ্যে এক গর্তের মধ্যে থেকে। পরিবার সূত্রে জানা যায় ২৫ জুলাই সোমবার বিকেলে নিজের বাইক সারানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হন রিজেশ । তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজেশের স্ত্রী বন্দনা বাউরি । তদন্তে নেমে শুক্রবার রাজেশের পূর্ব পরিচিত পদ্মাবতী সোরেন, তার স্বামী অমিত সোরেন ও পদ্মাবতীর বোন তিথি সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি জেরায় ওই তিনজন রাজেশকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় পদ্মাবতী ও অমিত তাদের জানায়, ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় পদ্মাবতী ফোন করে রাজেশকে দোমদহে ডেকে পাঠান। সেখানে পৌঁছে রাজেশ পদ্মাবতীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় তার মাথার পিছনে শাবল দিয়ে আঘাত করেন পদ্মাবতীর স্বামী অমিত। বার কয়েক আঘাত করার পরে রাজেশের মৃত্যু হয়। এর পরে তিন জন মিলে দোমদহ ও ধাঙ্গুরি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে রাজেশের দেহ পুঁতে দেন। পরে রাজেশের মোটরবাইকে করেই তিন জন নিজেদের গ্রাম মুচিডিতে ফেরেন এবং মোটরবাইকটিকে রাস্তার পাশের একটি পরিত্যক্ত কুয়োতে ফেলে দেন। পরে ওই বাকটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় অবৈধ সম্পর্কের টানা পোড়েনের কারণেই রাজেশ বাউরিকে খুন হতে হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments