শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:– ফোল্ডিং হুইল চেয়ার কাম স্কুটার নতুন করে জীবন উপভোগ সুযোগ করে দিয়েছে বাঁকুড়া জেলার ছাতনার বাসিন্দা অনুপ মন্ডলকে। পেশায় একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অনুপবাবুর ২০১৭ সালে স্পাইনাল কর্ডে একটি অস্ত্রোপচারের জেরে শরীরের নিচের অংশ অসার হয়ে যায়। প্রায় চার বছরের জন্য ঘর বন্দি হয়ে পড়েন তিনি। তার নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে হুইল চেয়ার। কিন্তু ঘরের বাইরে বেরিয়ে জীবন উপভোগ করতে চাইছিলেন অনুপবাবু। তখনই সামাজ মাধ্যমে এই হুইল চেয়ার কাম স্কুটারের কথা জানতে পারেন তিনি। এখন এই স্কুটারই অনুপবাবুর জীবনের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এই স্কুটারের জন্যই অন্যের উপর নির্ভর না করে নতুন করে জীবন উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
আই আই টি চেন্নাই এর ছাত্রদের মস্তিষ্ক প্রসূত এই হুইল চেয়ার কাম স্কুটারটি ব্য়াটারি চালিত। গাড়িটি পুরোপুরি চার্জ করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। একবার চার্জ দিলে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়তে পারে। স্কুটারের সর্বচ্চো গতিবেগ ঘণ্টা প্রতি ৩০ কিলোমিটার।
অন্যদিকে এই হুইল চেয়ার স্কুটার সম্পূর্ণ কাস্টোমাইজ করা যায়। অনুপ মন্ডল নিজের দেহের মাপ দিয়ে বানিয়ে নেন এই ব্যাটারি চালিত ফোল্ডিং গাড়িটি। স্কুটারের দুটি অংশ। যে অংশে যাত্রী বসবে সেই অংশটি মূল স্কুটার থেকে আলাদা করলেই হুইলচেয়ারে পরিণত হয়। গত প্রায় ৬ বছর ধরে এই ফল্ডিং স্কুটার ব্য়বহার করছেন অনুপবাবু।
বিজ্ঞানের আর্শীবাদ মানুষের জীবন যাত্রার উপর কতটা সুপ্রভাব বিস্তার করতে পারে তারই উদাহরণ অনুপ মন্ডলের ব্যবহৃত আই আই টি চেন্নাইয়ের ছাত্রদের মস্তিষ্ক প্রসূত এই হুইল চেয়ার কাম স্কুটারটি। বলতে গেলে বৈজ্ঞানিক এই যন্ত্র বা গাড়ি নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে এক ঘরবন্দি মানুষকে।