নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– আজ বাইশে শ্রাবণ, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস। অন্যদিকে এই সময়ে বিগত কয়েকদিন ধরে, উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণভবন লুট, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙচুর, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, প্রতিশোধের আগুন যেন আর নিভছে না। এই আগুনের হাত থেকে রেহাই পেলেন না বিশ্বকবিও। ভেঙে ফেলা হয়েছে তাঁর মূর্তি। মুখে আটকানো রয়েছে সেলোটেপ। হাতের গীতাঞ্জলিতে বিদ্ধ করা হয়েছে লাল রঙের ধারালো অস্ত্র।
বুধবার দুর্গাপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পড়শিদেশবাসীর এহেন বর্বরোচিত আচরণের বাংলাদেশের নিন্দায় সরব হলেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখা, সেই রবীন্দ্রনাথের মূর্তি আজ ফুটপাতে পড়ে, সেই বাংলাদেশকে আমরা চিনি না। মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খন্ড খন্ড চিত্র দেখে মনে হচ্ছে এটা কিসের আন্দোলন। কোটার আন্দোলন থেকে কোথায় পৌঁছেছে। এই বাংলাদেশকে বড় অচেনা লাগছে। শান্তি ফিরে আসুক সেটাই আমরা প্রার্থনা করছি।”
প্রসঙ্গত এদিন দুপুরে দুর্গাপুরের ৩১নম্বর বিদ্যাসাগর এভিনিউতে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের আটটি বিজেপির সাংগঠনিক জেলা বাঁকুড়া,বিষ্ণুপুর, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান সদর, বর্ধমান দুর্গাপুর, আসানসোল এবং পুরুলিয়ার কার্যকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, শালতোরার বিধায়ক চন্দনা বাউরি সহ অন্যান্যরা।