জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- এমনিতে প্রায় প্রতিদিন গুসকরা নদীপটি, স্কুলমোড়, বলগোণা মোড় ও আউসগ্রাম রোডে ট্রাফিক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক ও ভারপ্রাপ্ত সিভিক ভলাণ্টিয়ারদের দেখতে পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য একটু বেলার দিকে, বিশেষ করে অফিস টাইমে।
কিন্তু ২৬ শে সেপ্টেম্বর প্রায় সাতসকালে গুসকরা নদীপটিতে ট্রাফিক গার্ডের ওসি অনন্তদেব সাহা সহ অন্যান্যদের তৎপরতা দেখে চমকে ওঠে পথচলতি সাধারণ মানুষ। চমক ভাঙার আগেই দেখতে পাওয়া যায় বোলপুরের দিক থেকে একের পর ব্যক্তিগত চারচাকা গাড়ির সঙ্গে লরি ও ডাম্পারের ভিড় এবং অন্যান্য দিনের চেয়ে সংখ্যাটা অস্বাভাবিক রকমের বেশি।
জানা গেল পানাগড়-দুবরাজপুর জাতীয় সড়কের উপর ইলামবাজারের কাছে কুনুর নদীর উপর সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এমনিতেই রাস্তাটির উপর গাড়ির চাপ বেশি। সামনে দুর্গাপুজো। চাপ আরও বাড়বে। যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সড়ক কর্তৃপক্ষ ব্রীজটি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। ২৬ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ, চলবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
স্বাভাবিকভাবেই ব্রীজটির উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর জন্য সেগুলি বিভিন্ন দিক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারই একটা অংশ বর্ধমান বা কলকাতা যাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা হিসাবে বোলপুর-গুসকরা এনএইচ- ২বি সড়ক ব্যবহার করছে।
এই সড়কের উপর গুসকরা রটন্তী কালী তলার কাছে কুনুর নদীর উপর আছে একটি ব্রীজ। সেটি কিছুটা সঙ্কীর্ণ হওয়ার জন্য পাশাপাশি দুটি ডাম্পার চলাচল করতে পারেনা। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গুসকরা স্কুলমোড় থেকে ভেদিয়ার দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ব্রীজের উভয় দিকে সারি সারি ডাম্পার, লরি, ব্যক্তিগত চারচাকার গাড়ি, টোটো ও যাত্রীবাহী বাস ইত্যাদি দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
রাস্তা দ্রুত যানজট মুক্ত করার জন্য সকাল থেকে ট্রাফিক ওসির নেতৃত্বে অন্যান্যদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকলেও কখনোই সেটা বিরক্তিকর পর্যায়ে পৌঁছে যায়নি। দক্ষতার সঙ্গে তারা দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করে যাচ্ছে।
অনন্তদেব বাবু বললেন – আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি। তিনি এরজন্য সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন।
অন্যদিকে গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বললেন – অনিবার্য পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে। ট্রাফিক গার্ডদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজে গুসকরা শহরে আগত জনসাধারণের কাছে তিনি আবেদন করেন।