সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- আজ ১১ ই মে নৃসিংহ চতুর্দশী। এইদিন গোধূলি লগ্নে ভগবান নৃসিংহ দেব আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই নৃসিংহ চতুর্দশী পালন করতে হলে কতগুলি জিনিস পালন করতে হবে তা হলো সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে স্নান করতে হবে ও পরিস্কার পোশাক পরুন। এইদিন সকাল থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত গম ও শস্য দানা খাওয়া যাবে না। যদি উপবাস করে না থাকতে পারেন, তাহলে আলু বাদাম দিয়ে অনুকল্প প্রসাদ খেয়ে থাকতে পারেন। এরপর ভগবান কে পঞ্চমৃত দিয়ে অভিষেক করিয়ে মিষ্টান্ন, ফল ইত্যাদি ভোগ হিসেবে নিবেদন করুন। নৃসিংহ দেবের প্রিয় পানীয় শীতল জল, আখের গুঁড়ো বা মিছরি, লেবুর রস, আদার রস, গোলমরিচের গুঁড়ো , এলাচ দিয়ে পনকম তৈরি করে তুলসী পাতা দিয়ে নিবেদন করবেন। এই দিন গরীব বা দীন দুঃখীদের তিল, পোশাক ইত্যাদি দান করতে পারেন। গোধূলি পর্যন্ত এই দিনের নির্জলাব্রত থাকে। এরপর নৃসিংহ দেবের অভিষেক সম্পন্ন হলে আপনি জল গ্রহণ করতে পারেন।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী , অশুভকে নাশ করতে নৃসিংহ দেবের আবির্ভাব হয়। নৃসিংহ চতুর্দশীর দিন উপোস করে থাকলে আপনি সর্ব কাজে সফলতা পাবেন। সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী, ঋষি কাশ্যপ ও তাঁর স্ত্রী দিতির সন্তান হিরণ্যকশিপু ব্রহ্মার বরে অমরত্ব লাভ করে মর্ত্যবাসী থেকে শুরু করে দেবতাদের উপর পর্যন্ত অত্যাচার করতে শুরু করে, তিনি সমস্ত বিষ্ণু ভক্তদের উপর অত্যাচার করা শুরু করেন এবং তার সন্তান প্রহ্লাদ মহারাজ বিষ্ণু ভক্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে পর্যন্ত প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। এইসময় প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষা করবার জন্য ভগবান নারায়ণ নৃসিংহ অবতার এ আবির্ভূত হন এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন, সেই কারণেই নৃসিংহ চতুর্দশী পালিত হয়।




