eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্রঞ্চায়েত প্রধানের প্রাসাদপ্রম বাড়ি, শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

প্রঞ্চায়েত প্রধানের প্রাসাদপ্রম বাড়ি, শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রাসাদপ্রম দোতালা বাড়ি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি নীরজ কুমার তার ফেসবুকে ওই বাড়ির ছবি পোস্ট করে লেখেন,”পঞ্চায়েতের দুর্ণীতির টাকায় পাঁচ বছরে গজিয়ে উঠেছে বিলাসবহুল অট্টালিকা, ঠিক যেমন হরিস চ্যাটার্জী স্ট্রীটে, শান্তিনিকেতন পশ্চিম বাংলার যুবরাজের বাড়ি, তেমনি অযোধ্যা পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুদাস ব্যানার্জীর তিন কোটির বাড়ি।” এরপরই এই ফেসবুক পোষ্ট ঘিরেই তৈরি হয় রাজনৈতিক বিতর্ক ও তরজা।

এমনকি বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি নীরজ কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অট্টালিকার মতো সুদৃশ্য বাড়িটিতে ব্যবহার হয়েছে ইটালিয়ান মার্বেল। পুরো বাড়িতে সোলার বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। আর রয়েছে পঞ্চাশ হাজারী সিঁড়ি, তিন লাখ টাকার টিভি। পাশাপাশি তার দাবি প্রধানের বাড়ির ভেতরের ডেকোরেশন দেখলে মনে হবে তাজ হোটেল। এরপরই তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দুনীর্তির কথা উল্লেখ করে তোপ দেগে বলেন ওই এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। শুধুমাত্র প্রধানেরই উন্নয়ন হয়েছে।

একই অভিযোগ শোনা গেল গ্রামের বাসিন্দাদের মুখেও। তাদেরও দাবি প্রধানের অট্টালিকার মতো বাড়ি হলেও এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। এমনকি গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি পঞ্চায়েতে সরকারি প্রকল্পে বাড়ির জন্য আবেদন করতে হলে দশ হাজার টাকা দিতে হয়। পাশাপাশি গ্রামের মানুষজন জানান, আগে প্রধানের এতো বড় বাড়ি ছিল না। প্রধান হওয়ার পরই তিনি ঐ বাড়ি তৈরি করেছেন।

যদিও যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই পঞ্চায়েত প্রধান গুরুদাস ব্যানার্জী তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাড়িটি তার পৈতৃক বাড়ি। তার বাবা বিএলআরও অফিসে চাকরি করতেন। ভাইয়ের ওষুধ দোকান আছে। তিনিও আগে বালির ব্যবসা করতেন। এর আগে ঐ বাড়িটি একতলা ছিল। পরে দোতলা সহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। সম্মানহানির জন্য তার বিরুদ্ধে এসব রটানো হচ্ছে। এমনকি যেকোন ধরণের তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি রাজি বলে দাবি করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments