জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,দমদমঃ- ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় ইচ্ছের পথে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মানবিকতা ও আন্তরিকতা কিছু ক্ষেত্রে সেই বাধা কিছুটা হলেও সরিয়ে দেয়। আন্তরিকতা ও নিজেদের সীমিত সামর্থ্যকে পাথেয় করে গত কয়েক বছর ধরে অসহায় পথশিশু ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছে দমদমের ‘মণ্ডল’ দম্পতি পঙ্কজ মণ্ডল ও সর্ণালি মণ্ডল। যার নিদর্শন আবার পাওয়া গেল দশমীর সন্ধ্যায়।
ওরা দক্ষিণ দমদম স্টেশন সংলগ্ন ও হনুমান মন্দির অঞ্চলের ফুটপাতবাসী। সবাই যখন নতুন পোশাক পরিধান করে পুজোর আনন্দে মত্ত ওদের পরনে তখন পুরনো পোশাক, কারও সেটাও নাই। পুজো ওদের কাছে বিবর্ণ থেকে যায়। ওদের খোঁজ কেউ না রাখলেও ‘মণ্ডল’ দম্পতি রাখে।
ওরা দক্ষিণ দমদম স্টেশন সংলগ্ন ও হনুমান মন্দির অঞ্চলের ফুটপাতবাসী। সবাই যখন নতুন পোশাক পরিধান করে পুজোর আনন্দে মত্ত ওদের পরনে তখন পুরনো পোশাক, কারও সেটাও নাই। পুজো ওদের কাছে বিবর্ণ থেকে যায়। ওদের খোঁজ কেউ না রাখলেও ‘মণ্ডল’ দম্পতি রাখে।
তাইতো দশমীর সন্ধ্যায় রাতের খাবার ও নতুন বস্ত্র নিয়ে এই অসহায় মানুষগুলির কাছে পৌঁছে যায় তারা। একে একে প্রায় একশ জন মানুষের হাতে সেগুলি তুলে দেয়। তখন অসহায় মানুষগুলির সঙ্গে সঙ্গে ‘মণ্ডল’ দম্পতির মুখে দেখা যায় তৃপ্তির হাসি।
প্রসঙ্গত কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আছে ‘মণ্ডল’ দম্পতির শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ‘প্রজ্বলন’। এর মাধ্যমে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথাগত শিক্ষা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, রক্তদান শিবির, দুস্থদের ঔষধ প্রদান সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার তারা করে থাকে। এছাড়া বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রমে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির সঙ্গেও তারা নিজেদের সর্বদা যুক্ত রেখেছেন। সারাবছর মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করলেও কখনোই প্রচারের আলোয় তারা আসতে চাননি।
লাজুক হেসে পঙ্কজ বাবু বললেন- আমরা মনে করি মানব সেবার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই, সর্বদাই সেটা করা যায়। আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা সেটাই করার চেষ্টা করি। মানুষের সেবায় সর্বদাই পাশে পেয়েছি আমাদের মা টুলু মন্ডল।
তিনি সকলকে শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান।