eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে বিহারের যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ

দুর্গাপুরে বিহারের যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– পরকীয়া সম্পর্কের জেরে দুর্গাপুরে বিহারের যুবককে খুনের ঘটনায় অন্য়তম মূল অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে( মিত্তিন) নিজেদের হেফাজত চেয়ে রবিবার দুর্গাপুর মহাকুম আদালতে পেশ করল পুলিশ। গতকালই তাকে মালদা থেকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। গতকালই মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের বোন তথা মৃত বিহারের যুবক ছোটন দুবের প্রেমিকা পূজা পাণ্ডেকে আদালতে পেশ করা হলে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আজ তাকেও ফের মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ফরিদপুর বাউরী পাড়ার বাসিন্দা গৌতম সাহার বাড়ি থেকে বিহারের শাহরানপুরের বাসিন্দা বছর ২৫-এর ছোটন দুবের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি মালিক জানান গত সোমবারই ওই যুবক ঘর ভাড়া নিয়েছিল এবং জানিয়েছিল গান্ধীমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার আত্মীয় ভর্তি রয়েছে, তার চিকিৎসার জন্যই সে ঘর ভাড়া নিয়েছে। এরপর ওই ঘরে বাইরে থেকে তালা বন্ধ থাকলেও দুর্গন্ধ বেরোতে থাকায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দুর্গাপুর থানার পুলিশ তালা ভেঙে ঘরের ভেতর থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। ঘর বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে মৃত ছোটন দুবের মোবাইলের কললিষ্ট পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে দুর্গাপুর থানা এলাকার ধান্ডাবাগ বাগানপাড়ার বাসিন্দা কিশোর পাণ্ডের স্ত্রী পুজা পাণ্ডের মোবাইল নাম্বার। সেই সুত্র ধরেই পুলিশ পূজাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ও পরে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে পূজা স্বীকার করে নেয় তার দাদা মিত্তিন পাণ্ডের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ছোটনকে খুন করেছেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে পূজার সঙ্গে ছোটনের বছর দুয়েক ধরে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল পূজা। কিন্তু পূজার অভিযোগ ছোটনের মোবাইলে পূজার কিছু আপত্তিকর ছবি ছিল, সেই ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছিল ছোটন। এরই মধ্যে পূজার বাড়িতে আসে রাজস্থানে একটি হোটেলে কাজ করা পূজার দাদা মিত্তিন পাণ্ডে। দুজনে মিলে ছোটনকে খুনের পরিকল্পনা করে ছোটনকে দুর্গাপুরে ডেকে পাঠায়। এরপর গত মঙ্গলবার মিত্তিন ও পূজা রাতের অন্ধকারে ফরিদপুরে ওই ভাড়া বাড়িতে ছোটনের কাছে যায় এবং ছোটনকে প্রচুর মদ খাইয়ে তার গলা টিপে খুন করে। এরপর ছোটনের মোবাইল ফোন, আধার কার্ড সহ কিছু নথিপত্র নিয়ে মিত্তিন এবং পূজা ওই ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে ধান্ডাবাগের ঘরে ফিরে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ছোটনের দেহ উদ্ধারের পর পরই বোনের বাড়ি থেকে চম্পট দেয় মিত্তিন। যদিও শনিবারই মালদা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে পুলিশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments