eaibanglai
Homeএই বাংলায়শিল্পাঞ্চলের নদী রক্ষার দাবি ও আদিবাসীদের জমি জবরদখলের প্রতিবাদ

শিল্পাঞ্চলের নদী রক্ষার দাবি ও আদিবাসীদের জমি জবরদখলের প্রতিবাদ

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– অজয় ও সিঙ্গারন নদী রক্ষা ও আদিবাসীদের জমি এবং জঙ্গল জবরদখল রুখতে আদিবাসী দিবসে সরব হলেন বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। শুক্রবার জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা জামুরিড়া বিডিও অফিস ঘেরাও করে একদিনের ধর্ণা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

প্রসঙ্গত পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়া শিল্প তালুকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানা অজয় ও সিঙ্গারন নদী দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গল জবরদখল করে নেওয়া হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, জামুরিয়া শিল্প তালুক এলাকায় বেশ কিছু বেসরকারি কারখানার মালিকদের দ্বারা অজয় ও সিঙ্গারন নদী দখলের বিরুদ্ধে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলাম। এরপরেও জামুরিয়া ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে কোনও উপযুক্ত জবাব না পাওয়ায় এদিন অফিস ঘেরাও করা হয়েছে। কে কত টাকা কামাচ্ছে তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের আইন লঙ্ঘন করে কেউ যদি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে অর্থ উপার্জন করে, তাহলে তা হতে দেবো না । জামুরিয়া শিল্প তালুকে এলাকার কিছু কারখানার মালিকেরা যেভাবে নদীর জলের গতি পরিবর্তন করে এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করছে তা অপরাধ। অভিযোগ করার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপরেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে ভারতীয় জনতা পার্টি আইনের আওতায় থেকে যা করা দরকার তা করবে। তবে যে কোনও মূল্যে জামুরিয়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে বিজেপি। প্রয়োজনে আমরা দুই নদীকে বাঁচাতে আদালতে যাবো।”

এই নিয়ে জামুরিয়া ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও অরুণলোক ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগ নেই। সরকারি জমি বা নদী কেউ দখল করতে পারে না। যদি , কেউ সত্যি এমন কিছু করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে এ বিষয়ে জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইন্দিরা বাদ্যকর বলেন, “এই এলাকায় নদী দখলের বিষয়ে আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ হয়, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরো বলেন, “বিএলআরওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলবো। তার রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, নদী দখল করার কোন অধিকার কারোর নেই। যদি কেউ এটা করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments