সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আসানসোলে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রকাশ্য রাস্তায় চলল ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ও প্রাক্তন কাউন্সিলরের দলবলের হাতাহাতি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘটনায় প্রাক্তন কাউন্সিলরকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আসানসোল পুরনিগমের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নাদিম আখতার ওরফে বাবলুর গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর আক্তার হুসেন গোষ্ঠীর গন্ডগোল পুরনো। এরই মধ্যে রবিবার বাসন রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ফের বিবাদের সৃষ্টি যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগ ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামির কুরেসির বাড়ির সামনে কোনও অনুষ্ঠানের অছিলায় রান্নার বড় বড় বাসন, ড্রাম ইত্যাদি রেখে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বাড়িতে যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হয়। ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট জানতে পারেন এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর আখতার হুসেন ও তার অনুগামীরা। অথচ প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়ি অন্য এলাকায়। এই নিয়ে বড় অশান্তি হতে পারে আশঙ্কা করে ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট জামির ঘটনার কথা জানান বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর নাদিম আখতারকে। তিনি কুলটি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে পুলিশ বাসন পত্র সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। অভিযোগ এরপরই প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দলবল নিয়ে হামলা চালায় ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট জামির কুরেশি, বর্তমান কাউন্সিলর নাদিম আখতার, তৃণমূল-সহ সম্পাদক জামসেদ নাসরিরের উপর। তাদের নিচুপাড়া এলাকার বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এমনকি দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে।
ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর আখতার হোসেনকে। পাশাপাশি এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জারি করা হয় পুলিশি টহলদারি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আসানসোল পুরনিগমের ভোটে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য় তৃণমূলের টিকিট পান ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর আখতার হোসেন। যদিও ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন নাদিম আখতার। কাউন্সিলর হওয়ার পর নাদিম তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ তারপর থেকেই বর্তমান এবং প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ও প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকে।