eaibanglai
Homeএই বাংলায়আজ রাতের আকাশ সাক্ষী থাকবে উল্কাবৃষ্টির, ভারত থেকেও দৃশ্যমান

আজ রাতের আকাশ সাক্ষী থাকবে উল্কাবৃষ্টির, ভারত থেকেও দৃশ্যমান

এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– আজ, ১৪ ডিসেম্বর বুধবার উল্কা বৃষ্টি বা প্রচলিত বাংলায় যাকে বলে তারা খসা, সেরমকই অসংখ্য তারা খসার মতো মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবীবাসী। রাতের আকাশে আতসবাজির মতো খসে পড়বে তারা বা উল্কারা। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সন্ধে সাড়ে ছটার পর থেকে এই অদ্ভুদ দৃশ্য দেখা যাবে ভারতেও। দৃশ্যমানতা ভালো থাকলে,ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৬০ টি তারা খসা দেখা যেতে পারে। খালি চোখে দেখা গেলেও এই মহাজাগতিক ঘটনাকে খুব স্পষ্টভাবে দেখতে হলে টেলিস্কোপ বা দূরবীন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এই উল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকেই। চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এই বৃষ্টি সবথেকে তীব্রতর হবে আজ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার নাম দিয়েছেন ‘জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার’ বা জেমনিড উল্কার ঝরনা। উত্তর পূর্ব আকাশের জেমিনি নক্ষত্র পুঞ্জের কাছ থেকে ছুটে আসে এই উল্কারা, তাই এর এর নাম ‘ জেমিনিড।’ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘জেমিনিড এসেছে ৩২০০ ফায়থন নামে এক পাথুরে গ্রহাণু থেকে। ফায়থন কোন গ্রহাণুর বিচ্ছিন্ন অংশ যা সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করার সময়, ধুলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে। যা পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের টানে খুব কাছে এসে পড়লে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে।

সৌরমণ্ডলের বাইরে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত কুইপার বেল্ট। যেখানে ধুলো আর গ্যাসের ঘনত্ব খুব কম। পাথর আর বরফের টুকরোয় ভরা এই কুইপার বেল্টের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ধূমকেতুরা। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্যের তেজে এদের শরীরের কিছু অংশ উল্কা হয়ে পৃথিবীতে ঝরে পড়ে। যা উল্কা বৃষ্টি নামে পরিচিত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments