eaibanglai
Homeএই বাংলায়বারাসতের বিজ্ঞান মেলায় 'প্রকৃতি কন্যার' সচেতনতা শিবির

বারাসতের বিজ্ঞান মেলায় ‘প্রকৃতি কন্যার’ সচেতনতা শিবির

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বারাসতঃ- পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ‍্যাসাগর কেন্দ্রের উদ্যোগে উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাত বনমালীপুর সন্তোষ ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল হাইস্কুলে ১১ ই ও ১২ ই ফেব্রুয়ারি দু’দিন ধরে চলছে শিশুবিজ্ঞান উৎসব ও বিজ্ঞান মেলা। আশেপাশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে তাদের তৈরি বিজ্ঞান সংক্রান্ত মডেল নিয়ে হাজির। মেলায় উপস্থিত দর্শকদের তারা মডেলের ব্যাখ্যা এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। বেশ জমজমাট পরিবেশ। বিজ্ঞান মেলাকে অন্য মাত্রা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে ফোন যায় দত্তপুকুরের কলেজ ছাত্রী ‘প্রকৃতি কন্যা’ অদিতি গাইনের কাছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে ১২ ই ফেব্রুয়ারি ‘প্রকৃতি কন্যা’ অদিতি হাজির হয় বিজ্ঞান মেলায়। সঙ্গে ছিল পিণ্টু হালদার ও অরিত্র গাইন। আর ছিল অদিতির নিজের হাতে তৈরি বন্যপ্রাণ ও সাপ সম্পর্কে তৈরি বিভিন্ন স্লাইড। এগুলো নিয়েই নিজের প্রোজেক্টর দিয়ে শুরু হয় সচতনতা শিবির। মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায় সেখানে।

ছোট্ট পর্দায় একে একে ফুটে উঠছে ভাম বেড়াল, বাঘ ডাস, মেছো বিড়াল, শিয়াল , কচ্ছপ, গোসাপ প্রভৃতি প্রাণীর চিত্র। ওদিকে ঐসব প্রাণীগুলো আমদের কি উপকার করে ও কিভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সেই সম্পর্কে উৎসাহি মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে হাসিমুখে দিয়ে চলেছে অদিতি।

এখানেই সে থেমে থাকেনি। মানুষের আতঙ্কের কারণ সাপ নিয়েও সে আলোচনা শুরু করে। পর্দায় ফুটে ওঠে একের পর সাপের চিত্র। এদের মধ্যে কোনগুলি বিষধর, কোনগুলিই বা নির্বিষ, কেন সাপ বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সাপ নিয়ে সমাজে প্রচলিত ও সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া বিভিন্ন কুসংস্কার ও ভয় সে দূর করার চেষ্টা করে গ্যাছে। উপস্থিত দর্শকরা অবাক হয়ে সদ্য কলেজের চৌকাঠে পা রাখা বাচ্চা মেয়েটার কথা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনে গ্যাছে।

বিজ্ঞান মেলার উদ্যোক্তাদের বক্তব্য – সাপ ও বন্যপ্রাণ সম্পর্কে বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার জন্য আমরা অদিতিকে আমন্ত্রণ জানাই। সামনে তার পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও যেভাবে সে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে তার জন্য তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

তার প্রতি ভরসা রেখে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিজ্ঞান মেলার উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অদিতি বলল – চেষ্টা করেছি বন্যপ্রাণ ও সাপ সম্পর্কে মানুষের কুসংস্কার ও ভয় দূর করতে। জানি না কতটুকু সফল হতে পেরেছি। তবে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়া ও অভিভাবকরা যেভাবে আমার কথাগুলি মন্ত্র মুগ্ধের মত শুনছিলেন তাতে আমি আপ্লুত। আশাকরি তারা এই শিবির থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করবেন।

প্রসঙ্গত কলেজ ছাত্রী অদিতি বন্যপ্রাণ ও সাপ সংক্রান্ত বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেন। তার কাছ থেকেই জানা গ্যালো বিজ্ঞান মেলায় উপস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে এই ধরনের সচেতনতামূলক শিবির করার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments