নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসা যেন থামছে না রাজ্যে। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ও বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকি সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির চার পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওা হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রার্থী জেমুয়ার কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত রুইদাসের বাড়িতে চড়াও হয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। প্রশান্ত রুইদাস ও তার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে। এমনকি তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গেলে প্রশান্তবাবুর বোনকেও দুষ্কৃতীরা মারধর করে। ঘটনায় প্রশান্ত রুইদাস ও তার তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশান্ত রুইদাসের দাবি ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী ছিল। অন্যদিকে শনিবার সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সেই খবর করতে গেলে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাদের উপর বেপরোয়া হামলা চালায়।
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার নিউটাউনশিপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম নেতা কর্মীরা। এদিন সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার দাবি করেন বিজেপি আর তৃণমূল একজোট হয়ে তাদের প্রার্থীকে মারধর করেছে। তিনি বলেন,২০১১ সাল থেকে প্রশান্ত রুইদাসের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। ফলে ভয়ে ঘরছাড়া ছিল পরিবারটি। এদিন তিনি আরও দাবি করেন কালীগঞ্জে তৃণমূল ও বিজেপি একসাথে জোট বেঁধেছিল, বিজেপিকে আসন ছেরে ভাগ বাটোয়ারা করার ছকে ছাই ফেলে সিপিএম। তার পর থেকেই সিপিএম প্রার্থীর উপর শুরু হয় অত্যাচার। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে শনিবার সকালেই নিউটাউনশিপ থানায় পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম প্রার্থী প্রশান্ত প্রশান্ত রুইদাসের স্ত্রী পূজা রুইদাস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুক্তিপদ রুইদাস ও দুলাল রুইদাসকে শনিবার দুপুরে কালিগঞ্জ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। রবিবার সকালে ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।