eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরের বিষ্ময় বালক অভিমন্যু নন্দী

দুর্গাপুরের বিষ্ময় বালক অভিমন্যু নন্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– মাত্র ১০ মিনিটে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৯৮ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্গাপুরের বিষ্ময় বালক অভিমন্যু নন্দী। বয়স মাত্র ২ বছর ২ মাস। মুখে সবে আদো আদো বুলি ফুটেছে। তার সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে এই খুদের অসাধারণ মেধার। এই বয়সেই অবলীলায় সে বলে দিচ্ছে জাতীয় সব চিহ্নের নাম, ফল, ফুল আকারের নামের সাথে দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজরাধীন নাম এমনকি বেশ কিছু দেশের রাজধানীর নামও।

দুর্গাপুরের বিধাননগরের জোনাল মার্কেট কলোনীর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় নন্দী ও তার স্ত্রী গৃবধূ মা সুস্মিতা নন্দীর সন্তান অভিমন্যু। কিন্তু কি করে ছেলের এই মেধার বিষয়টি বুঝতে পারলেন তারা। সুস্মিতাদেবী জানান, অভিমন্যু যখন কথা বলতে শুরু করে তখন তারা লক্ষ্য করেন পরিবারের যে যা কথা বলে সেটি হুবহু মনে রেখে দিত খুদে অভিমন্যু। এরপরই খেলাচ্ছলে তাকে নানা বিষয়ে পড়াতে থাকেন সুস্মিতা এবং তার ছোট্ট খুদেও সেসব নিমেষে আয়ত্ত করে ফেলে। এইভাবেই অনেক কিছু শিখে ফেলে সে। অন্যদিকে সঞ্জয়বাবু জানান বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে তারা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতি পাওয়া মেধাবী শিশুদের ভিডিও দেখতেন। সেখান থেকে উৎসাহ পেয়েই অভিমন্যুর ভিডিও তারা পাঠিয়ে দেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। আর তাতেই হয় কেল্লা ফতে। খুদে অভিমন্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া শংশাপত্র, মেডেল সহ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের বই বাড়িতে পৌঁছে যায় ডাকযোগে ।

এই মেডেল কিংবা শংসা পত্রের গুরুত্ব খুদে অভিমন্যুর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। সে তো মেডেল নিয়ে রীতিমতো খেলায় মেতেছে। কিন্তু খুদের এই স্বীকৃতিতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত অভিমন্যুর অভিভাবক সহ তার পরিবারের লোকজন। সুস্মিতা জানান এই তো সবে শুরু, এখনও তাদের ছেলে কোনও স্কুলেও ভর্তি হয়নি। তবে তার মেধার কথা মাথায় রেখে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তারা, যাতে একদিন শুধু শহর কিংবা রাজ্য নয় সারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে দুর্গাপুরের এই বিষ্ময় বালক।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments