সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পচা মুরগির খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনা আসানসোলের জামুড়িয়া ব্লকের বেলডাঙ্গা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা।
জানা গেছে, জামুড়িয়া শিক্ষা চক্র ২ এর অন্তর্গত বেলডাঙ্গা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে চলছিল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পরীক্ষা। বুধবার ছিল সেই পরীক্ষার তৃতীয় দিন। অভিভাবকদের অভিযোগ এরই মধ্যে এদিন সকালে প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ মুহুরী, স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার জন্য রাখা রাধুনীদের রান্নাবান্না করার আগেই নিজে থেকে মুরগির মাংস রান্না করা শুরু করে দেন। অভিভাবকদের অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে তাদের মনে সন্দেহ জাগায় তারা রান্না হওয়া মুরগির মাংস পরীক্ষা করেন এবং গন্ধে বুঝতে পারেন যে, মুরগির মাংস পচা ও বাসি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পড়ুয়াদের মধ্যে। বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী যারা ইতিমধ্যেই রান্না করা খাবার খেয়ে নিয়েছিল তারা বমি করতে থাকে। কমবেশি ২৫ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে অভিভাবকেরা অবিলম্বে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সরানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, এর আগেও বেশ কয়েক দফায় প্রধান শিক্ষক এ ধরনের আচরণ করেছেন। যার জন্য তারা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। তবে এবার অবিলম্বে ওই প্রধান শিক্ষককে সরানোর দাবি জানান তাঁরা।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ। তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটে যান জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ভোলানাথ গোপ। তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি জানান, যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ধরণের বিষয় কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিষয়টিকে নিয়ে স্কুল ইন্সপেক্টরকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
যদিও এ বিষয়ে স্কুল ইন্সপেক্টর দেবজ্যোতি দাস জানান, যে মাংস নিয়ে আসা হয়েছিল রান্নার জন্য সেটি রান্না করা হয়নি । সেই মাংস রান্নার আগেই ফেলে দেওয়া হয়। তবে কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ ধরনের মাংস কিনে এসেছিলেন সে সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন বিষয়ে অন্যায় লক্ষ্য করা গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
