সংবাদদাতা,দুর্গাপুর,আসানসোলঃ– ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার আসানসোল ও দুর্গাপুর দুই পৌরশহরে পৌরসভার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। বৈঠকে আসানসোল পৌরনিগমকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে দুর্গাপুরে কারখানা, গুদাম, খাটালের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান জেলাশাসক।
এদিন আসানসোলের বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, সিএমওএইচ শেখ মহম্মদ ইউনুস, জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস, মেয়র বিধান উপাধ্যায়-সহ অন্যরা। বৈঠকে সিএমওএইচ ইউনুস জানান, আসানসোলে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে শনিবারের পর জেলা হাসপাতালে আর কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত ভর্তি হননি বলে জানান আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস। অন্যদিকে মেয়র জানান, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে। প্রতিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আবর্জনা সাফাই ও নিকাশির জন্য বাড়তি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। চলছে পেলোডার দিয়ে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ।
অন্যদিকে দুর্গাপুরে ডেঙ্গু নিয়ে বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়,পুর-প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস, দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মন্ডল সহ দুর্গাপুর নগর নিগমের পুর-প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা। বৈঠকে অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়জানান, এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর পুর-এলাকায় মোট ৩৫৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি তিনি জানান, পুরসভার উদ্যোগে চলছে সাফাই অভিযান। আগাছা সাফাই, কুয়োর মুখ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া, কীটনাশক স্প্রে করা, নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়া-সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। চলছে সচেতনতা প্রচারও। জেলাশাসক জানান, কারখানা, গুদাম, খাটালের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতা যাতে নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি, এবিষয়ে রেল, ইস্কো, ডিএসপি, ইসিএলের সঙ্গেও দ্রুত বৈঠক করা হবে।