eaibanglai
Homeএই বাংলায়অফিস চত্বরে নজর কাড়া ফলের বাগান করে সারা ফেলে দিয়েছেন ছাতনার বিডিও

অফিস চত্বরে নজর কাড়া ফলের বাগান করে সারা ফেলে দিয়েছেন ছাতনার বিডিও

শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:– চাকরি মানেই নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব। নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায় করে সেই দায়িত্ব কর্তব্য পালন করা। কারণ চাকরির পাশাপাশি সাংসার ও সমাজেরও নানা দায়িত্ব কর্তব্যও পালন করতে মানুষকে। এর ব্যতিক্রম যে দেখা যায় না তা নয়। সেরকমই এক ব্যক্তি বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশুতোষ প্রামাণিক। কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে বিডিও অফিস চত্বরে নজরকাড়া বাগান করে সারা ফেলে দিয়েছেন তিনি। শিশুতোষবাবুর মতে তার কাজের কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই কাজে থাকতে হয়। তার মধ্যে যেটুকু সময় পান সেই সময়ে বাগানের পরিচর্যা করে আলাদা আনন্দ পান। যা তার মানসিক শান্তির পাশাপাশি কাজে সফলতা আনতেও সাহায্য করে।

উল্লেখ্য ২০২০ সালে ছাতনা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক হিসেবে যোগদান করেন শিশুতোষ প্রামাণিক। তারপর থেকে ব্লকের কাজ করেও অবসর সময়ে বিডিও অফিস চত্বরটি ফুলে ফলে ভরিয়ে তোলায় মনোযোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ছাতনা বিডিও অফিস প্রাঙ্গণের বাগানে রয়েছে প্রায় ৩৫ রকমের আমগাছ,১৫০ ধরনের বিভিন্ন স্থানীয় এবং এক্সোটিক ফল।

আমের এই মরশুমে আমের কথা তো বলতেই হয়। কারণ বর্তমানে ছাতনা বিডিও অফিস প্রাঙ্গণের বাগানে নানা প্রজাতির আমের ফলন হয়েছে। আর আমের রকমভেদ দেখেও তাক লেগে যাবে। চিয়াং মাই আম যেটা লম্বায় প্রায় ১৮ ইঞ্চি, এছাড়া আমেরিকান পালমার সহ বহু দেশি বিদেশি আমের দেখা মিলছে।

বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক জানান ছোট থেকেই তার গাছ লাগানো এবং গাছ পরিচর্যা করার শখ। বর্তমানে সেই শখই একপ্রকার রূপায়িত করেছেন অফিসের বাগানে। কিন্তু এই সাজানো বাগান একদিন তো ছেড়ে চলে যেতে হবে? প্রশ্ন শুনে শিশুতোষবাবু মৃদু হেসে জবাব দেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে হিসেব নিকেশ কষে কোনও সৃজনশীল কাজ করা যায় না। এটা একেবারেই ভালো লাগার তাগিদ থেকে করা। তবে নিজের হাতে তৈরি এরকম সাজানো বাগান ছেড়ে যেতে কষ্ট তো হবেই। উত্তর দেওয়ার সময় যেন কিছুটা উদাসীন দেখায় ছাতনার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments