শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত। মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ১২ বছর পর এক দিবসীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পেরেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আর সেই বিশ্বকাপ জ্বরে বুঁদ হয়ে রয়েছে বাঁকুড়া শহর। বিক্রি হচ্ছে জার্সি এবং জাতীয় পতাকা। বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা এতটাই যে ভোরবেলা থেকে খুলে যাচ্ছে খেলার সামগ্রীর দোকান। ক্ষুদে ক্রিকেটাররা জমায়েত হচ্ছেন সেই দোকানে। কেউ নিচ্ছেন একটি জার্সি আবার কেউ নিচ্ছেন একাধিক। ভারত ফাইনালে ওঠার উন্মাদনায় খুদে ক্রিকেটাররা কিনছেন ডিউস বল। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছে বিরাট প্রস্তুতি। লাগানো হয়েছে সকলের প্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের পোস্টার। আলাদা করে পোস্টার লাগানো হয়েছে রোহিত- বিরাট এবং বুমরাহর। ২ বিল্ডিং এর মাঝে লাগানো হয়েছে অতিকায় জাতীয় পতাকা।
বাঁকুড়া শহরের গোলপার্ক মার্কেটের একটি খেলার দোকানের কর্ণধার আশিস হাজরা জানালেন, “বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত ওঠার পর অন্য রকমের উন্মাদনা কাজ করছে বাঁকুড়া বাসীর মনে। এতে আমাদেরও সুবিধা হয়েছে। জার্সি বিক্রি বেড়েছে। কম দামি জার্সি গুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।”
জার্সি ছাড়াও বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার কচিকাঁচাদের ক্রিকেট খেলার উন্মাদনা বেড়েছে। সকাল থেকে কেউ ব্যাটে লাগাচ্ছেন গ্রিপ আবার কেউ কিনছেন সিনথেটিক ডিউস বল। এক কথায় ভারতীয় ক্রিকেটের এই বিরাট সাফল্য প্রভাব ফেলেছে বাঁকুড়ার বাজারেও। উৎসাহী কিশোর প্রীতম দাস মোদক জানালেন, “সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত ফাইনালে উঠেছে বলে সাদা “ডিউস বল” কিনলাম। চোখ বন্ধ করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত ফাইনাল জিতবে। আমরাও নতুন উদ্যমতার সঙ্গে ক্রিকেট খেলব।”
বাঁকুড়া সুভাষ রোড এলাকার বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে ভারতীয় জাতীয় পতাকা। পতাকা কিনছেন ক্লাবের সদস্যরা এবং উৎসাহী জনতা। আবার কোথাও কোথাও অর্ডার দিয়ে বানানো হচ্ছে অতিকায় ভারতীয় পতাকা। দুই পাড়ার মধ্যে প্রতিযোগিতা করে লাগানো হচ্ছে অতিকায় পতাকা গুলি। পতাকা বিক্রেতা গণেশ রক্ষিত জানালেন, “বিভিন্ন সাইজের পতাকা বিক্রি করছি। স্বাধীনতা দিবসের মতই বিক্রি হচ্ছে পতাকা। বিভিন্ন দামের এবং বিভিন্ন সাইজের রয়েছে পতাকা।”
এখন শুধু অপেক্ষা রবিবারের। অপ্রতিরোধ্য ভারত বনাম নাছোড়বান্দা অস্ট্রেলিয়া। লড়াই দেখার জন্য মুখে রয়েছে গোটা বাঁকুড়া শহর। চলছে তারই প্রস্তুতি। চলছে কেনাকাটা। বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে সাধারণ মানুষ।