eaibanglai
Homeএই বাংলায়শেষ ল্যাপে ছিটকে গেলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি বিজেপির টিকিট সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে

শেষ ল্যাপে ছিটকে গেলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি বিজেপির টিকিট সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে

সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- বিজেপির টিকিটে আসানসোল কেন্দ্র থেকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া প্রার্থী লড়াই করতে চলেছেন। এই আসানসোল থেকে দলের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে অন্যতমদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

সেই জিতেন্দ্র তেওয়ারি সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া দলের প্রার্থী হওয়ার পরে বলেন, তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। বাংলার সমস্ত সাংসদের মধ্যে সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসানসোলের মতো কেন্দ্রে এমন একজন অভিজ্ঞ প্রার্থীর প্রয়োজন ছিলো।
বিরোধী দলের তরফে প্রায়শই বলা হয় যে, সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে তার পুরনো লোকসভা কেন্দ্র দূর্গাপুর বর্ধমানে দেখা পাওয়া যেতো না। এমন একজনকে ঠিক পাশের কেন্দ্র আসানসোলে প্রার্থী করা হলো। এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,একজন সাংসদ একজন কাউন্সিলরের মতো নন। যিনি প্রতিদিন জনগণের সাথে দেখা করবেন। তিনি সাংসদ হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন কি না, সেটা বিচার্য বিষয় । তিনি বলেন, সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া সাংসদ হিসেবে অনেক কাজ করেছেন। তিনি এটা করেছেন বলেই তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর। সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার কাজের কথা বিবেচনা করে আসানসোলের জনগণ তাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে নির্বাচিত করবেন। বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করবে।

এদিকে, দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই আসানসোলে দেওয়াল লেখার কাজ এদিন দুপুরেই শুরু করে দেন বিজেপির নেতা ও কর্মী। জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের উপস্থিতি আসানসোলের কল্যানপুরে দেওয়াল লেখা হয়। জেলা সভাপতির সঙ্গে মিষ্টি মুখ করেন দলের নেতা ও কর্মীরা। একইভাবে দল বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ও দলের প্রার্থীকে স্বাগত জানান।

জেলা সভাপতি বলেন, প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চারটের সময় তিনি দিল্লি থেকে অন্ডালে কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে আসবেন। সেখানে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। তিনি এরপর দূর্গাপুরের বাড়িতে যাবেন। সেখানে তার সঙ্গে আমরা প্রাথমিক একটা আলোচনা করবো। শুক্রবার সকালে তিনি আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো দেবেন। অন্যদিকে, আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রধান দুই বিরোধী দল তৃনমুল কংগ্রেস ও সিপিএম।

তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি কাকে প্রার্থী করবে, সেটা তাদের দলের ব্যাপার। তবে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি গত ৫ বছর দূর্গাপুর বর্ধমানের সাংসদ ছিলেন। সেখানে তিনি এতো কাজ করেছেন যে, দল তাকে ঐ কেন্দ্রে প্রার্থী করলো না। যতদূর জানি,সেখানে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। যাক আসানসোলের মানুষেরা তো তাকে প্রার্থী হিসেবে খুঁজে পেলেন। এটাই আমরা প্রচারে তুলে ধরবো।”

সিপিএমের পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোন দলের কে প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের প্রার্থী জাহানারা খান রাস্তায় নেমে অনেক আগে থেকেই প্রচার করছেন।”

প্রসঙ্গতঃ, সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া এর আগে দুবার এমপি বা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে দার্জিলিং ও ২০১৯ সালে বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিজেপি তাকে টানা তৃতীয়বারের জন্য এবার প্রার্থী করেছে। এবার নিজের জন্মস্থান আসানসোল থেকে টিকিট পেয়েছেন তিনি। আসানসোলের অদূরে রানিগঞ্জের জেকে নগরে তার শৈশব কেটেছে। আসানসোলের জহরমল জালান স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তিনি। আসানসোলেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এসএস আলুওয়ালিয়া। পাশাপাশি তিনি রানিগঞ্জের তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়ের নিকটাত্মীয়। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে লড়াই হতে চলেছে তৃনমুল কংগ্রেসের শত্রুঘ্ন সিনহা, সিপিএমের জাহানারা খান ও বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার মধ্যে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments